২৮ মার্চ, ২০২৪

CID: এইমস-কাণ্ডে নীলাদ্রি দানার সিআইডি হাজিরা, 'মিথ্যা মামলা', দাবি বিজেপি বিধায়কের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-11 19:35:26   Share:   

কল্যাণী এইমস-এ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল বাঁকুড়ার বিজেপি(BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার (Niladri Sekhar Dana)। তবে এই ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট সামান্য আলাদা। এবার কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের  মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠায় সিআইডি (CID)। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৫মিনিট নাগাদ ভবানীভবনে আসেন এবং সিএইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। বিধায়কের কন্যা মৈত্রেয়ী দানার এইমস নিয়োগ নিয়ে জেরায় একাধিক প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রায় ৭ ঘণ্টা ভবানী ভবনে ছিলেন তিনি।

ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বিধায়ক বলেন, এ ব্যাপারে আইনগতভাবে তিনি এগোবেন যা বলার বলবেন দলের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বাম আমল থেকে শুরু করে এই আমলেও সেই ধারা অব্যাহত। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগসাজসের অভিযোগও করেছেন তিনি।

উলেখ্য, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগে এফআইআর (FIR) করা হয়েছিল চাকদহ থানায়। যেখানে নাম ছিল ৮ জনের। এরপরেই আদালতের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এর আগে মৈত্রেয়ী দানাকে বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ভাবেই বাবা বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার প্রভাব নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন মৈত্রেয়ী। কিন্তু এরপর তদন্তে নেমে জানা যায় এইমসে মেয়েকে নিয়ে নিজে গিয়েছিলেন বিধায়ক।

শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি মারফত মৈত্রেয়ীর চাকরি হয়েছে সেখানে স্বয়ং বিধায়কের সুপারিশপত্র গিয়েছিল বলেও দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। আর সেই বিষয়ে বিশদে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্যই এদিন আবার তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার বিধায়ককে বলে খবর।

শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্নীতির একের পর এক চিত্র উঠে আসছে রাজ্যের রাজনৈতিক ক্যানভাসে। প্রভাব খাটিয়ে ছেলে, মেয়ে, পরিবার, পরিজন বা বন্ধু স্থানীয়দের বাড়ির লোকের হাতে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা তুলে দিয়েছেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র! এসব ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অযোগ্য হয়েও বাবার প্রভাবে চাকরি পাওয়ায় স্কুল চাকরি গিয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। নাম জড়িয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যারও, এবার শেষে একই অভিযোগ কি বিদ্ধ বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা?

তবে এই গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। "যেহেতু সিবিআইয়ের (CBI) জালে তৃণমূলের নেতারা ছটফট করছেন, বড় বড় দুর্নীতি করে মুখ কালো করে বসে রয়েছেন, তাই তার প্রতিহিংসা হিসেবেই কোথাও কিছু নেই তাও আমাদের নেতাদের দিনের পর দিন ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে।" ঠিক এভাবেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।


Follow us on :