প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবার। কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতার দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১-এর ২৭ নভেম্বর। মুহরী পরিবারের নবতিপর বৃদ্ধা শিবানী মুহরীর মৃত্যু হয়। গভীর রাতে পরিবারের সদস্যরা শিবানীদেবীর দেহ সৎকার করতে রাত বারোটা নাগাদ নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন। একটি ম্যাটাডোর ও একটি ছোট গাড়িতে করে পরিবার পরিজন সহ ৪০ ব্যক্তি দেহ সৎকারের কাজে রওনা দিয়েছিলেন। নদিয়ার হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় গাড়িটি পাথর বোঝাই একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মহুরি পরিবার সহ এলাকার ১৩ জনের। গুরুতর জখম হন আরও সাত থেকে আটজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে দেখতে রাস্তার পাশে সেদিন ভিড় করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।বিজেপি নেতৃত্ব নিহতদের পরিজনদের জানান "প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পাঠিয়েছেন। প্রতিটি পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি"। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণাও করা হয়েছিল।
কিন্তু নিহত ও আহত পরিবারগুলির অভিযোগ, ঘটনার পরে প্রায় দু মাস কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কেন্দ্র সরকারের কোনও টাকা তাঁরা পাননি। কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দু লক্ষ টাকা করে পেয়েছে নিহতদের পরিবার। এখন রীতিমতো আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি।
প্রতিবেশীরাও জানালেন, গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কিছু সহযোগিতা নিয়ে আহতদের এখনও চিকিৎসা চলছে। অনেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। অনেক পরিবারের উপার্জনের একমাত্র মানুষ হারিয়ে গিয়েছে। ফলে সেই পরিবারগুলি অসহায় হয়ে পড়েছে।
একে স্বজন হারানোর বেদনা, তার উপর পেটের চিন্তা। অসহায় পরিবারগুলি আর্থিক সংকট মুক্ত হবে কী করে, ভেবেই দিশাহারা।