Share this link via
Or copy link
বুধবার সকাল থেকেই বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ চার জনের বাড়িতে সিবিআই (cbi) তল্লাশি। গোরু পাচারে তছরূপ হওয়া বিপুল টাকার হদিশ পেতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪টি সম্পত্তির নথি হাতে পেয়েছে সিবিআই। ২৬টি সম্পত্তি মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে আর ৫টি ছবি মণ্ডলের নামে। পাশাপাশি বোলপুর (Bolpur) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করেছে সিবিআই। তাঁর ব্যবহার করা গাড়ির নথি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও এখনো পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত নথি সিবিআইকে দিতে পারেননি কাউন্সিলর।
তাঁর হিসেবরক্ষক বা অ্যাকাউন্টেন্ট কয়েকদিন ধরে এলাকায় নেই। তাই কোনও নথি দিতে পারছেন না বিশ্বজ্যোতিবাবু। বাড়িতেই চলছে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি চলতি মাসেই একবার অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মনীশ কোঠারির বাড়িতেও সিবিআই। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তদন্তে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল মিলিয়ে ১৬২টি সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডল, সুকন্যা মণ্ডল এবং ছবি মণ্ডল ছাড়াও কমলকান্তি ঘোষ, রাজা ঘোষ, পারমিতা ঘোষ, বিদ্যুৎ গায়েন, মহুয়া গায়েন, অনসূয়া গায়েনের নামেও মিলেছে সম্পত্তির হদিশ।
পাশাপাশি কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে সিবিআই তল্লাশি। অপরদিকে, গরুপাচার অভিযোগে সিবিআই স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই এড়াতে চেষ্টা কিছু কম করেননি। অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বারবার। কিন্তু কিছুতেই ভোলানো যায়নি আদালতকে। অবশেষে জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম এখন বদলেছে অনেকটাই। যারা এতদিন মুখ খুলতে পারেনি অজানা আশঙ্কায়।
তারা এখন মুখ খুলছে কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে উদ্ধার হচ্ছে কুবেরের সম্পত্তি। জেলের ওপারে বসে প্রথম প্রথম মনমরা থাকলেও, দলের সুপ্রিমো সঙ্গে আছে দেখে ফের স্ব মহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। একই জেলে রয়েছে সহচর সায়গল। দুজনকে পাশাপাশি বসিয়ে জেরা করার জন্য আসানসোল সংশোধনাগারে এলো সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে সহযোগিতা করলেন না অনুব্রত।