একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। কষ্টের উৎপাদিত ফসলকে চলে যেতে দেখেছেন জলের তলায়। বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান, আলু, পেঁয়াজ, উচ্ছে সহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। ঋণ নিয়ে চাষ করার পর এই পরিণতিতে দিশাহারা কৃষকরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার চেষ্টায় কৃষকরা।
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে কৃষকদের পাশে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হল মাটির স্বাস্থ্য কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নোয়াখালির জিএন হরিনারায়ণ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার শস্য-শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র এবং আইসিএআর নিনফিট-এর যৌথ উদ্যোগে ২৫০ জন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাটি স্বাস্থ্য কার্ড। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞানী নারায়ণচন্দ্র সাউ ও দেবপ্রসাদ রায়, মুখ্য বিজ্ঞানী আইসিএআর নিনফিট সহ বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
এই এলাকার সকল কৃষকরা তাদের জমির মাটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তুলে দিয়েছিলেন কৃষি বিজ্ঞান দফতরের হাতে। আর সেই মাটি বিশ্লেষণ করে জমির মাটির উর্বরতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা জানাল কৃষি দফতর। কৃষকরা মাটিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে চাষ আবাদ করায় মাটির সর্বপ্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, তার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। কিভাবে জৈব সার প্রয়োগ করে উন্নতমানের ফসল ফলাতে পারেন, সে বিষয়েও কৃষকদের অনুশীলন করানো হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। জৈব উপায়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেলে ফসলের গুণমান বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। ফসলের গুণমানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈতিক যোগসূত্র।
এই অনুশীলনে এসে কৃষকরা জানতে পারেন, তাদের জমির মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে। কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মতো মৃত্তিকার অনুখাদ্য ও মাটির উর্বরতা বাড়াতে সঠিক ফসল চাষ করতে ফসফরাস, নাইট্রোজেন প্রয়োগ করবেন এবং তাঁরা আশাবাদী এই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চাষ করলে তাঁরা উপকৃত হবেন।
আরও উন্নত চাষের লক্ষ্যে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলে জানান বিজ্ঞানীরা। এই প্রয়াসে উপকৃত হলেন কৃষকরা।