দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ কান্দির রণগ্রাম ব্রিজের কাজ। ফলে ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে যানজটে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আগামী ১৫ তারিখ ব্রিজ চালুর দাবিতে মিছিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর জন্য কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলকে দায়ী করেছে। তবে শাসকদল সেই কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ।
কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি জানান, গত ২৬ শে অক্টোবর কান্দির মহকুমা শাসক তাঁদের পদযাত্রা করার অনুমতি দেন। তারজন্য ঠিক হয় দিন ও তারিখ। কিন্তু ৩ থেকে ৪ দিন আগে আবার জানানো হয়, কোভিডের জন্য অনুমতি দেওয়া হল না। কোনও ধরনের মিছিল বা পদযাত্রা হলে, কোভিডের বিধি অনুসারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।
প্রশাসনকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি জানতে চান, তাহলে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজোতে কিভাবে এত মানুষের সমাগম হল ? তাঁর অভিযোগ, তাঁরা প্রশাসনের কাছে সুস্থভাবে, করোনার সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পদযাত্রা করার আবেদন করেছিলেন। তাহলে তখন তাঁদের প্রথমে অনুমতি দিলেও, পরে তা কেন বাতিল করে দেওয়া হয়? ২ বছর ধরে একটা সামান্য ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে না। যাতে করে সমস্যায় পড়ছে সমস্ত মুর্শিদাবাদবাসী।
এবিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রণগ্রাম ব্রিজ কান্দির জলন্ত সমস্যা। পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও শহরগুলির সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ করার মাধ্যম। এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, কেন হচ্ছে না ব্রিজের কাজ? তবে কি ট্রেন্ডারের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে সমস্যা আছে ? রোগী বা নিত্যযাত্রীদের কথা কি কেউ ভাবছে? তাদের দাবি, কার গাফিলতিতে এই কাজ বন্ধ, তাও খুঁজে বার করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, প্রচারের আলোয় থাকার জন্যই অধীর চৌধুরির এই ধরনের নাটক। বাম জোটের ফলে মানুষ এখন তৃণমুলে চলে এসেছে। হাল খারাপ ভেবে তাঁর এই নাটক। এই অধীর চৌধুরিকে ধিক্কার জানান তাঁরা। তবে কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।