ইয়াসের ক্ষত এখনও টাটকা মনে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসে হাওড়ার শ্যামপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল প্রায় দেড়শো ইটভাটায়। এখন অকাল বর্ষণে ফের ইটভাটার ইট নষ্ট। ক্ষতির মুখে শ্রমিকরা।
কিছু ভাটায় ইট তৈরি করে সেগুলো সাজিয়ে রাখা ছিল। আবার কোথাও ইট তৈরির জন্য মাটি প্রস্তুত ছিল। কিন্তু হঠাৎ বর্ষণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইটের গড়ন। ফলে এই ইটগুলিকে ফের জলে ফেলে কাদায় মাটিতে পরিণত করতে হবে। তারপর সেই মাটিকে ফের ইটের আকারে তৈরি করতে হবে। এতে একদিকে যেমন অর্থ নষ্ট হল মালিকদের। অন্যদিকে বিপাকে পড়ল ইটভাটার শ্রমিকরাও। শ্রমিকরা জানাল, বৃষ্টির জল জমে থাকায় যতক্ষণ না মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ইট তৈরি করতে পারবে না ইটভাটার শ্রমিকরা। সপ্তাহখানেক অন্তত সময় লাগবে। ফলে এই কয়েকদিন ফের কাজ হারাবে ইটভাটার শ্রমিকরা।
ইটভাটার একাধিক মালিক জানিয়েছে প্রত্যেকটা ইটভাটায় প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ এভাবে নষ্ট হয়েছে কাঁচা ইট। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য়, শ্যামপুর এলাকায় প্রায় দেড়শ ইটভাটা রয়েছে। গত ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসের ফলে সবকটা ইটভাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনও কোনও ভাটার চুল্লিতে জল ঢুকে যায়। তো কারোর চুল্লি ভেঙে পড়ে । এছাড়া লক্ষ লক্ষ কাঁচা ইট জলে ধুয়ে যায়। ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে ইতিমধ্যে ১০০ ইটভাটা ইট তৈরির কাজ করতে শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে কাজ পাচ্ছিল কর্মহীন শ্রমিকরা। এই অবস্থায় ফের অকাল বর্ষণে কপালে চিন্তার ভাঁজ ইটভাটার মালিকদের। সমস্যায় ইটভাটার শ্রমিকরাও।
অকাল বর্ষণে ইটভাটার পরিস্থিতি খুবই কঠিন বলে জানান শ্যামপুর থানা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায়চৌধুরী। শ্যামপুরের অর্থনীতির বিরাট অংশ নির্ভর করে ইটভাটার উপরে। একাধিকবার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ইটভাটার মালিক থেকে শুরু করে শ্রমিকরাও।