সাত সকালে আগমন হনুমানের। খোশমেজাজে থাকা হনুমানটির আগমনে আনন্দে মেতে উঠলেন হকার, ব্যবসায়ী থেকে পথচলতি মানুষজন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং স্টেশন এবং রেলওয়ে নিউমার্কেটে সেলুনের দোকানে হনুমানের দর্শন মিলল সকাল সকালই। ক্যানিং স্টেশনের হকারদের কাছ থেকে এগ রোল, কলা, জল, রুটি খেয়ে বেজায় খুশি হনুমানটি। সকালে হনুমানের দর্শন পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়িযে দেয়। ঘুমে আচ্ছন্ন হনুমানটি বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে চেয়ারে বসে থাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরেই। শীতের সকালে হকাররা ক্যানিং স্টেশন এসে দোকান খুলেছেন লাভের আশায়। কিন্তু হনুমানের দর্শন পেয়ে ব্যবসায় আরও উন্নতি হবে বলে জানান হকার এবং ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যজুড়ে চলছে করোনার সংক্রমণ, যার জেরে কড়া বিধিনিষেধে কার্যত বন্ধ সমস্ত কিছুই। তবে পরিস্থিতি এখন একটু স্বাভাবিক হওয়ার পথে। শিথিল হয়েছে সরকারি নিয়মাবলী। ক্যানিং স্টেশন আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে আস্তে আস্তে। এত কিছু টানাপোড়েনের জেরে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ছিলেন হকার এবং ব্যবসায়ীরা। তবে মন খারাপের সকালেই দর্শন হনুমানের।
হকার উৎপল বসু জানান, হনুমানটিকে খাওয়ানোর পর থেকেই ভালো যাচ্ছে তাঁদের ব্যবসা। প্রায় সকালেই তাঁদের দোকানে হাজির হয় ওই হনুমানটি। ছোলা, বাদাম, বিস্কুট, মুড়ি তাঁদের সাধ্যমত যা আছে, তাই খেতে দেওয়া হয় তাকে। বেশ অনেকবারই এসেছে হনুমানটি, তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি আজ পর্যন্ত করেনি।
সন্তু মজুমদার জানান, তাঁরা খুব খুশি হন, যখনই হনুমানটি আসে। খোশমেজাজে সে এসে নিজের ইচ্ছামতো যা মনে করে, তাই খায়। কখনও ছোলা তো কখনও মটর। এমনকি সে রোলও খেয়ে গেছে। তাকে দেখতে অনেক মানুষের ভিড় জমে। ফটো, ভিডিও তুলতে ব্যস্ত হযে পড়েন স্টেশনে থাকা লোকজন। শুধু তাই নয়, সেলুনে নিজের ইচ্ছামতো বসে ঘুমিয়ে, তারপর যায় সে। তবে কোনও সময়ই কোনও ক্ষতি করে না সে। বরং তার আসায় ব্যবসায় বেশ উন্নতি হয়।
বোঝা গেল, তার আগমনে বেশ খুশি সেখানকার হকাররা। তাঁরা চান, সে যেন বার বার আসে তাঁদের কাছে। কারণ, তার আসায় ব্যবসার উন্নতি হবে বলেই তাঁরা আশাবাদী।