হাবড়া থেকে কলকাতায় অ্যাম্বুল্যান্সে ভাড়া লাগল ২২ হাজার টাকা। বেলাগাম ভাড়ার অভিযোগে টনক নড়ল প্রশাসনের। লাগামছাড়া মূল্য নেওয়ার অভিযোগে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন মঞ্জিমা সরকার। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। অবশেষে স্বাস্থ্য কমিশনের হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত রোগীর পরিবারকে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১-এর ৮ই মার্চ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাচিক শিল্পী মঞ্জিমা সরকারের মা বন্দিতা সরকার। কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাবড়া থেকে কলকাতায় রোগী স্থানান্তরের জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রোগীর পরিবারের তরফে। শিল্পীর দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর জন্য প্রথমে তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ চাওয়া হয়। এরপর ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে অগ্রিমের টাকা পাঠানো হলে, তাঁর বাড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়ে পৌঁছয়।
এখানেই শেষ নয়, এরপর ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দাবি, অ্যাম্বুলান্স ছাড়ার আগেই আরও ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। মায়ের আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিশাহারা হয়ে তখনকার মতো আরও ১২ হাজার টাকা চালককে দিয়ে দেন রোগীর পরিবার। অভিযোগ, মোট ২২ হাজার টাকা নেওয়া হলেও তাঁকে দেওয়া রশিদে কেবল পরের দফার ১২ হাজার টাকার উল্লেখ ছিল। এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে ই মেইল মারফত অভিযোগ জানান তিনি।
তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কমিশন। ওই অ্যাম্বুল্যান্স সংস্থার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাবড়া থানার পুলিসকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিসের হস্তক্ষেপে অবশেষে রশিদ ছাড়া বেআইনিভাবে নেওয়া ১০ হাজার টাকা তৎক্ষণাৎ রোগীর পরিবারকে ফেরত দেয় অ্যাম্বুল্যান্স কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য কমিশনের দ্রুত তৎপরতায় খুশি শিল্পীর মা।
বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাগামছাড়া ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। তবে হাবড়া হিজল পুকুরের সরকার পরিবার সাহস করে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করার পর স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি তাদের পরিবার। অ্যাম্বুল্যান্স সংস্থাগুলির উপর প্রশাসনের তরফে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি সরকার পরিবারের।