নিরাপত্তার ফাঁক গলে সারারাত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তির ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজত। সোমবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাফিজুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি হাসনাবাদে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন মধ্যরাত ১ টা ২০ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পাঁচিল টপকে ঢোকেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে দেখতে পান। এতক্ষণ বাড়ির ভিতরে কী করছিলেন তিনি? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
অভিযুক্তকে জেরা করে তারা একাধিক প্রশ্নের উত্তর চাইছে। হাসনাবাদ থেকে কালীঘাট কেন এসেছিল? কীভাবে আঁটসাঁট নিরাপত্তা পেরিয়ে ওই এলাকায় ঢুকল? তার এই আচরণের নেপথ্যে বড় কোনও ছক আছে কিনা? তাকে দিয়ে কোনও সংগঠন রেকি করিয়েছে কিনা? তার পেশা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে তাকে জেরা করছে পুলিস।
এদিকে, শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। সারা রাত ঘাপটি মেরে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে ছিলেন তিনি। সকালে জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস ওই ব্যক্তিকে আটক করলেও গোটা রাত এক ব্যক্তির এভাবে ঘাপটি মেরে থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন! মুখ্যমন্ত্রীর আঁটোসাটো নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কী করে এমনভাবে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লেন ওই ব্যক্তি? প্রশ্ন তুলছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত একটা নাগাদ ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েন ভিতরে। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখের আড়ালে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। সারারাত বাড়ির মধ্যেই ঘাপটি মেরে বসে থাকেন তিনি। সকাল বেলা তাঁকে দেখতে পেয়েই হইচই পড়ে যায়। যদিও পরে তাঁকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিস।