একদিকে দঃ ২৪ পরগনার মহেশপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের বেহাল দশা। ছাদের চাঙড় ভাঙা ঘরে অনেক নেইয়ের মাঝে কোনওক্রমে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।
অন্য়দিকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে গেল দুর্গম বক্সা পাহাড়ে। এখন থেকে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে আর পাহাড় ঘুরতে হবে না। গাড়িতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাটাবাড়ি বা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ছুটতে হবে না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৮০০ ফুট উপরে অবস্থিত আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের বক্সা পাহাড়ে শনিবার উদ্বোধন হল বক্সা ডুয়ার্স কমিউনিটি হেল্থ ইউনিটের। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এই প্রথম বক্সা পাহাড়ে হেল্থ ইউনিটের উদ্বোধন হল ।
প্রসঙ্গত, বক্সা পাহাড়ে এতদিন ছিল না কোনও স্বাস্থ্য়কেন্দ্র। অসুস্থ হলে বক্সা পাহাড়ের ১৩ টি গ্ৰামের বাসিন্দাদের কাঁধে করে আঁকাবাঁকা পাকদণ্ডী বেয়ে সন্তলাবাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসতে হত। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে করে লাটাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল বা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আনতে হত চিকিৎসার জন্য। এলাকায় স্বাস্থ্য় পরিষেবা এতদিন ছিল না বললেই চলে। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে আপাতত তিন শয্যা বিশিষ্ট এই হেল্থ ইউনিট শুরু হল। পরবর্তীতে আরও বড় করে এখানে স্ব্যাস্থকেন্দ্র তৈরি হবে এবং তার জন্য ইতিমধ্যে ১৬ লক্ষ টাকা অনুমোদনও হয়েছে। বক্সা পাহাড়ের কমিউনিটি হেল্থ ইউনিট উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ, কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য় আধিকারিক ডাঃ সুভাষকুমার কর্মকার।
জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা জানান, ৩ শয্যাবিশিষ্ট এই বিশেষ হেল্থ ইউনিটে আপাতত একজন আশাকর্মী থাকবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন একজন চিকিৎসক এসে আউটডোর পরিষেবা দেবেন।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে আর দূরদূরান্তে ছুটতে হবে না, এই ভেবেই স্বস্তিতে স্থানীয়রা।