বছর শেষের দিনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্য়ক্তি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা। আলিপুরদুয়ার ও আলিপুরদুয়ার জংশন যোগাযোগ রক্ষাকারী উড়ালপুলের নিচে ঘটে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জীবন্তই পুড়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। গভীর রাতে হঠাৎই স্থানীয়রা দেখতে পায়, উড়ালপুলের নিচে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। স্থানীয়দের হইচই শুনে কাছেই থাকা দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা বেরিয়ে আসে। তৎক্ষণাৎ তারা আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর সময়ই সবার নজর আসে, এক ব্যক্তি উড়ালপুলের গার্ডারের ওপর ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জীবন্তই পুড়ে মারা গেছে।
এবিষয়ে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্য়ান সৌরভ চত্রবর্তী জানান, উড়ালপুলটি অনেক কষ্ট করে বানানো হয়েছে। কিন্তু এই বিপর্যয়ে কিছু ক্ষতি হয়ে গেছে। তবে কী কারণে এই বিপর্যয় তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। স্থানীয় পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বিষয়টি দেখার কথা বলেন। তিনি আরও জানান, কীভাবে আগুন লাগল সেবিষয়ে তাঁরাও কিছু জানেন না।
তবে দ্রুততার সঙ্গে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সামনেই পুরসভা নির্বাচন আর তার ঠিক আগেই এই ঘটনা। কেউ বা কারা ষড়যন্ত্র করছে কিনা সে বিষয়েও লক্ষ্য় রাখছেন বলেই জানান। মৃত এক ব্য়ক্তির বিষয়ে তিনি জানান, কেন ওই ব্য়ক্তি উড়ালপুলের এই জায়গায় এসেছিল, যেখানে কেউই যায়না। আগুন পোহাতেই এখানে আসা নাকি অন্য় কোনও অসাধু কাজ করতেই এখানে এসেছিল তার খোঁজ চলছে। উড়ালপুলটি রক্ষনাবেক্ষণে কোনও গাফিলতি আছে কীনা সে বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।
দমকল আধিকারিক জানান, এই দুর্ঘটনায় ক্ষতি হল সবথেকে বেশি এই উড়ালপুলের। তবে উড়ালপুলের নিচে একাধিক আর্বজনা এবং দাহ্য় পদার্থ থাকায় এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে উড়ালপুলটিরও বহন ক্ষমতা কিছুটা কমে গেছে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে ঘটনায় আম জনতাকে সচেতন হতে হবে বলেই জানান ওই ব্য়ক্তি। বর্জ্য় পদার্থগুলি উড়ালপুলের নিচে না রাখলে হয়ত এই আগুন লাগত না বলেই জানান দমকল আধিকারিক।
যদিও পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায় নি।