Share this link via
Or copy link
গণধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির ফলে প্রথমে শো-কজ এবং পরে ক্লোজ করা হলো বারাসাত মহিলা থানার এসআইকে। এসআই বর্ণালী দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিজের কর্তব্যে গাফিলতি করাছেন।' উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রামের এক নৃত্যশিল্পী বারাসাতে নৃত্য শিখতে যেতেন। গত ২৬ শে আগস্ট তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এমনই অভিযোগ নিয়ে বারাসাত মহিলা থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরেও বারাসাত মহিলা থানার কর্তব্যরত এসআই তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা মহিলা বারাসাতে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছিলেন। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারের নজরে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। তদন্ত নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু'জন মহিলাও আছে। অভিযুক্তদের শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত বান্টির দাবি নির্যাতিতার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি সে এও অভিযোগ করে বারবার অবৈধ সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করতেন নির্যাতিতা। তাতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকেরা তাদেরকে ফাঁসিয়েছে। অন্য এক অভিযুক্তর দাবি, আমি মেয়েটাকে চিনি না। যদিও অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে বলবেন। আমাকে সম্পূর্ণ ফাঁসানো হয়েছে। যদিও নির্যাতিতা মহিলার দাবি, 'আমি একজন পেশাগত নৃত্যশিল্পী। ফেসবুকে একটা নাচের স্কুলের খোঁজ পেয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু পরে জানতে পারি কোনও নাচের স্কুল নেই। বরং পর্ণ ছবির শ্যুটিং চালায়। যার নেপথ্যে মূল অভিযুক্তর স্ত্রী রয়েছে। আমারও প্রাইভেট ভিডিও করে রাখে। কিন্তু তারপরেও বান্টি আমাকে সম্পর্কে রাখতে জোর করে। প্রেমের জালে ফাঁসাতে চায়। আমি আপত্তি তুললে আমাকে বদনাম করতে চায়। প্রথমে আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কারণ ওরা প্রভাবশালী।'