১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Chuchura: তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে খুনে যাবজ্জীবন সাজা তৃণমূলেরই প্রধান-সহ ৮ জনের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-26 18:20:21   Share:   

২০১৮-র খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান-সহ ৮ জনের। তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান খুনে (murder) এই রায় দিয়েছে চুঁচুড়ার এক ফাস্টট্র্যাক কোর্ট। এই সাজা ঘোষণার পর আদালতের সামনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নিহতের অনুগামীদের। যদিও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ 

সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধানের পরিবারের। শুক্রবার চুঁচুড়া (Chuchura) আদালতের ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে (court) অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক কাজি আবুল হাসেম।

পুলিস (police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ধনিয়াখালীর কুমরুলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে উপপ্রধানকে পিটিয়ে খুন করেছেন তৎকালীন প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরা ও তার দলবল। ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত ধনিয়াখালীর গোপীনাথপুর-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। চিত্তরঞ্জন প্রধান উপপ্রধান ছিলেন ২০০৮-১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৮-র মে মাসে পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা হয়। তখন গ্রামসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা মনোনয়ন করতে না পারায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এরপর পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই নেতা চিত্তরঞ্জন সাঁতরা ও মৃত্যুঞ্জয় বেরার মধ্যে গণ্ডগোল বাঁধে। পঞ্চায়েতের প্রভাব কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি।

এরপর ঐক্যমত না হওয়ায় ২৩ মে ধনিয়াখালীর বিডিও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য সভা ডাকেন। সেই সভা থেকে বাইক নিয়ে ফেরার পথে দুপুর তিনটে নাগাদ কুমরুল আলুপট্টিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বেরা। রড-শাবল-সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারা হয় তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল, সেখান থেকে হাওড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৫ মে মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয়বাবুর। উপপ্রধানের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। ভাঙচুর আগুনে জ্বলতে থাকে এলাকা। বিশাল পুলিসবাহিনী-সহ র‍্যাফ দমকল গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় উপপ্রধানের স্ত্রী শিপ্রা বেরা ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ধনিয়াখালী থানায়। 

ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিস তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত তথা পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরাকে নদীয়া থেকে গ্রেফতার করেছিল।


Follow us on :