Share this link via
Or copy link
গোরু চোর সন্দেহে এক সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জের বড়ুয়াপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কয়েকজন চোর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দিয়েছিল। একটি বাড়ি থেকে তিনটি গোরু (Cow Smuggling) বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে যান গৃহকর্তা-সহ স্থানীয়রা। তাঁরা ওই চোরদের পিছনে ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। সেই সন্দেহভাজনকে বেধড়ক মারধর (beaten to death) করা হলে তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
বুধবার সকালে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত সালাম মহুমের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের কাহারপাড়ার বাসিন্দা সালাম। পাশাপাশি এই গণপিটুনি ঘটনার তদন্তে নেমে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ নৃপতি রায়-সহ তিনজনকে এদিন সকালেই আটক করে। এই আটকের খবর পেয়ে রাজগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। নৃপতি রায়-সহ তিনজনকে ছেড়ে দিতে হবে এই দাবিতেই চলে বিক্ষোভ।
বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ থানায় ঢুকে আটকদের পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিস বলপ্রয়োগ করে তাঁদের থানার বাইরে বের করে দেয়। এরপর থানার সামনেই চলে জমায়েত করে বিক্ষোভ। এদিকে, বিক্ষোভের খবর পেয়ে জেলা পুলিসের কর্তা-সহ স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি মধ্যস্থতা করে উরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে আটক ব্যক্তিরা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। এই অসুস্থতার খবরে আরও উত্তেজনা বাড়ে।
অসুস্থরা রাতে চিকিৎসাধীন থাকবেন, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থান বুঝে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। বিধায়কের এই আশ্বাসবাণীতে ওঠে অবরোধ। স্থানীয়দের দাবি, আরও টহলদারি বাড়াক বিএসএফ, পুলিস। বিজেপির অভিযোগ, 'শাসক দলের মদতে এভাবে গোরু পাচার চলছে।'