স্বাস্থ্য দফতরে (Health Department) চুক্তিভিত্তিক কাজে ১১৫২১ টি পদে নিয়োগের (Recruitment) জন্য বিভিন্ন জেলার তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের নিয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি (Committee)। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগে কেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন পীযূষ পাত্র নামে এক সমাজসেবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কমিটির যে কোনও নিয়োগ এই মামলার ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করবে। ৫ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি। ইতিমধ্যে রাজ্যকে দু'সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। পাশাপাশি তার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে হলফনামা দিতে হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে ১১৫২১ টি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক ও পার্টটাইম কর্মী হিসাবে এই শূন্য পদে নিয়োগ হবে। এই নিয়োগের জন্য রাজ্যের ২৮ টি জেলাতে কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, প্রতিটি কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নেতামন্ত্রী ও শাসকদল ঘনিষ্ঠদের রাখা হয়েছে। মালদহ ছাড়া কোথাও সিলেকশন কমিটিতে চিকিৎসক নেই। ফলে এই কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে তা স্বচ্ছ হবে না। এই অভিযোগে কমিটি বাতিলের দাবিতে মামলা করা হয়েছে। এই মামলাতেই রাজ্য সরকারের কাছে দু সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচরপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, সিলেকশন কমিটি গঠন করা ২০২১ এর ১৬ নভেম্বর, নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিধায়ক, মন্ত্রীদেরকেই সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের স্বাস্থ্য দফতরের এই নিয়োগে কোনও ভুমিকা না থাকারই কথা। স্বজনপোষণের ঘটনা ঘটবে বলে অভিযোগ মামলাকারীর। উল্লেখয, কমিটিতে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিনয় বর্মনের মতো একাধিক নেতামন্ত্রী।