১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Birbhum: ইলামবাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-12 09:58:04   Share:   

বাগুইআটি (Baguiati) কাণ্ডের ছায়া বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে খুনের (Murder) অভিযোগে রবিবারই গ্রেফতার (Arrest) করা হয় বন্ধু সলমানকে। যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছিল। তবে এবার আর গাফিলতি নয়। শুরু হয়েছে পুলিসি তৎপরতা। সালাউদ্দিনের খুনে যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল অর্থাৎ যে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছিল, সেটি রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের বাইরে থেকে উদ্ধার করল ইলামবাজার থানার পুলিস (Ilambazar police station)। ওই জায়গাতে পুলিস প্রিকেট বসানো হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।

উল্লেখ্য, রবিবার ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মল্লারপুরের পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। গলাকাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর পুলিস তদন্ত নেমে তাঁর বন্ধু সলমানকে গ্রেফতার করে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে সমস্তটাই স্বীকার করে নিয়েছেন সলমান।

জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করবে বলে যান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন। রাতে তাঁরই নম্বর থেকে বাড়িতে ফোনও যায়। চাওয়া হয় ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। পরিবার শনিবার রাত থেকেই টাকা জোগাড়ের সঙ্গে পুলিসকে খবর দেয়। এরপরই রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ।

পুলিস সূত্রে খবর, প্রচুর টাকা লোন থাকার কারণে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন সলমান। সলমান গত সপ্তাহেও এইভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন সালাউদ্দিনকে নিজের আয়ত্তে এনে মুক্তিপণ চাইবেন। কিন্তু সেইদিন তা সম্ভব না হওয়ায় শনিবার ঘটনাটি ঘটায়।

যেভাবে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে। তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, পেশাগত খুনি নয় শেখ সলমান। প্রচুর পরিমাণে লোন ছিল অভিযুক্ত শেখ সলমানের। সেই লোন এর টাকা আদায়ে অপহরণ করে ব্যবসায়ীর ছেলেকে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত শেখ সলমানের মা ভাবতেই পারছেন না তাঁর ছেলে এই কাজ করতে পারে।


Follow us on :