দেবী পক্ষের শুভ সূচনায় সকাল থেকেই আবহাওয়া (Weather) তুলনামূলক ভালই ছিল দক্ষিণবঙ্গে। তবে দুপুরের দিকে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বর্ষণ হয়েছে। এবারে পুজোতেও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) তেমন দুর্যোগের কোনও পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দেয়নি। দু-একটা জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের (Rain) পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শোনাল হাওয়া অফিস। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্তের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গের ছয় জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি দুই জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গের কোথাও দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সবকটি জেলার কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কোথাও তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ।