২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Elephant: পায়ে সংক্রমণ নিয়ে নড়াচড়ায় কষ্ট, অসুস্থ হাতির মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে ডুয়ার্সের দুই গ্রাম
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-03 16:38:55   Share:   

ডুয়ার্সের (Dooars) বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও হাতির (elephant) সংঘাত নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই বুনো হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয় চাষের ক্ষেত, ঘরবাড়ি। হাতির হামলার মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। যেই বুনো হাতির তাণ্ডবে রাতে দু চোখের পাতা এক করতে পারেন না জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বনবস্তি এবং গ্রামের বাসিন্দারা। এবার সেই হাতির প্রাণ বাঁচাতেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দুই গ্রামের মানুষজন।

গত কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বন বিভাগের ডায়না রেঞ্জের খেড়কাটার জঙ্গলে একটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা। হাতিটির পিছনের ডান পায়ে সংক্রমণ থাকায় সে নড়াচড়া করতে পারছে না। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাতরাচ্ছে, পায়ের অনেকটা অংশ ফুলে গিয়েছে। এই দৃশ্য দেখার পরেই নাগরাকাটার ধূমপাড়া এবং খেড়কাটা এলাকার বাসিন্দারা সেই বুনো হাতিটির খাবারের জোগাড় শুরু করেন। যেই কলাবাগান, সবজি ক্ষেতে এতদিন হাতির দল তাণ্ডব চালাত, সেই কলাবাগান থেকেই কেটে আনা হয় কলা গাছ। জমি থেকে তুলে আনা হয় সবজি। হাতি ব্যাপক তাণ্ডব চালালেও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় হাতিকে দেবতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। কোনও কোনও জায়গায় হাতিকে মহাকাল রূপেও পুজো করা হয়।

তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেই হাতিটির কাছে। অন্যান্য সময় হাতি সাধারণ মানুষকে দেখলে তেড়ে আসে। এই ক্ষেত্রে যেন একদম উল্টো পুরান। গ্রামবাসীরা কাছে গিয়ে খাবার তুলে দিলেও সেই আক্রমণাত্মক স্বভাব আর দেখা গেল না। হাতিটিও যেন প্রতিদিন অপেক্ষা করে থাকে গ্রামবাসীদের জন্য। তবে গ্রামবাসীদের আক্ষেপ সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। হাতিটির সঠিক চিকিৎসা না হলে হাতির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর এই কারণেই হাতিটির সঠিকভাবে চিকিৎসার দাবি জানানো হয়েছে।

তবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটির পায়ের সংক্রমণের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গত দুদিনের থেকে বর্তমানে হাতিটির পায়ের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। পাকা কলার ভিতরে ওষুধ পুড়ে সেটি খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাতিটির পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বন দফতর থেকে শুরু করে গ্রামবাসী সকলেই চান হাতিটি ফের একবার সুস্থ হয়ে ফিরে যাক নিজের জঙ্গলে।


Follow us on :