সম্প্রতি একই পরিবারের দুই গৃহবধূর রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ফের প্রেমের টানে সংসার ছেড়ে দুই টোটোচালকের সঙ্গে চম্পট দিলেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাগদা থানার সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। দুই গৃহবধূকে বাড়িতে ফিরে আসার আবেদন জানালেন বৃদ্ধ শ্বশুর শিবুপদ পাল। থানার দ্বারস্থ পরিবার৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টোটোচালকদের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদার। সিন্দ্রানি টোটোস্ট্যান্ডে তারা প্যাসেঞ্জার নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে৷ পাশাপাশি শিবুর সিন্দ্রানি বাজারে একটি চালের দোকানে রয়েছে। তাদের বাড়ি সিন্দ্রানি এলাকায়। টোটোতে যাতায়াতের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে পালবাড়ির মেজ ও ছোট বউয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে গভীর প্রেম তৈরি হলেও পরিবারের লোকেরা তার আঁচ করতে পারেনি।
বাড়ির বউরা চলে যাওয়ায় বুধবার সকালে বৃদ্ধ শ্বশুর বাড়ির উঠোনে বসে মাছ কাটছিলেন। তিনি জানালেন, বড় ছেলে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকে৷ মেজ ছেলে ও ছোট ছেলে পুনেতে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করে৷ মেজ ও ছোট ছেলের বউ ও নাতিদের নিয়ে তাঁর সংসার। মেজো ছেলের বছর ২২ আগে বিয়ে হয়েছিল। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলের বছর ১০ আগে বিয়ে হয়। তাঁর একটি ৫ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে।
শনিবার বিকেলে ননদের বাড়ি যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল দুজন। ছোট বউ ছেলেকে নিয়ে গিয়েছে। আর ফিরে আসেনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে দেখি সোনার গহনা বেশ কিছু টাকাপয়সা নিয়ে গিয়েছে।
ভিন রাজ্যে বসে দুই ছেলের কানে সেই খবর পৌঁছতেই তাদের স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছে বাবাকে। এরপরই শ্বশুর শিবপদ পাল স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি টোটোচালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও শিবু মজুমদারের একটি করে কন্যাসন্তান রয়েছে। দুই বন্ধুর এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তাদের স্ত্রীরা। শিবু মণ্ডলের স্ত্রীর বক্তব্য, বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেতে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল। পরে জানতে পারি, ওরা দুই বন্ধু পালবাড়ির দুই বউকে নিয়ে পালিয়েছে। ফোন বন্ধ। টাকাপয়সা নিয়ে গেছে স্বামী। যদি ফিরে আসে তাহলে মেনে নেব।