Share this link via
Or copy link
ভাসানের সময় মাল নদীর (Mal River) হড়পা বানে (Flash Flood) তলিয়ে গিয়ে মৃত ৮ জন। সেই ঘটনা এখনও দগদগে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলাজুড়ে। কিন্তু এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার চেয়েও লোকমুখে ঘুরেফিরে আসছে তিন যুবকের কীর্তি। যারা প্রাণের তোয়াক্কা না করে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে দশমীর সন্ধ্যায় বাঁচিয়েছেন প্রায় ৫০টি প্রাণ। এই তিনজোনে মহম্মদ মানিক, রামমানকি মুন্ডা এবং বিনু গঞ্জু। মাল নদীর পাগলা বানে ঝাঁপ দিয়ে শিশু,মহিলা-সহ ১০ জনকে বাচান মালবাজারের পশ্চিম তেশিমিলা গ্রামের মহম্মদ মানিক। প্রতিবছরের মতো এবারও পরিবার-সহ ভাসান দেখতে এসেছিলেন মানিক।
সন্ধ্যার অন্ধকার সঙ্গে ঢাকের শব্দ, ধুপ-ধুনোয় নদীপাড়ে এক অন্য বিদায়ের বার্তা। তার মধ্যেই হঠাৎ হড়পা বানের তোড়ে তলিয়ে যাওয়ার আর্তনাদ। সেই দৃশ্য দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি মহম্মদ মানিক। পরিবার পাশে থাকলেও এক বন্ধুর হাতে ফোন দিয়ে জলে ঝাঁপ দেন তিনি। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বাঁচান ১০ প্রাণ। যেহেতু মাল নদীর সঙ্গে পরিচিত আছে মানিকের এবং সাঁতার ভালোই জানেন তিনি। তাই প্রকৃতির রোষের বিরুদ্ধে লড়ে এখন জলপাইগুড়ির গর্ব মহম্মদ মানিক। সূত্রের খবর, অভিশপ্ত সন্ধ্যায় প্রায় ৬-৮ হাজার মানুষ বিসর্জন দেখতে জমায়েত করেছিলেন।
সেই ভিড়ে ছিলেন রামমানকি মুণ্ডা, বিনু গঞ্জুও। প্রতিমা নিরঞ্জনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চা বাগানের এই দুই বাসিন্দা। এই দু’জন মিলে মানিকের মতোই হড়পা বানের স্রোত থেকে একের পর এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। অন্তত ৪০ জনকে সেদিন পাড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিলেন রাম এবং বিনু। তাঁদের অবশ্য দাবি, পুলিস-প্রশাসনের সাহায্য সময় মতো পেলে আরও কয়েক জনকে প্রাণে বাঁচানো যেত। যেহেতু ছোট থেকেই এই নদীর সঙ্গে তাঁদের পরিচিতি, তাই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে বেগ পেতে হয়নি। এমনটাই জানান রামমানকি এবং বিনু গঞ্জু।