Share this link via
Or copy link
নিখোঁজ কেশপুর ব্লকের এক তৃণমূল নেতা। অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ কেশপুর ব্লকের আগর বুথের তৃণমূল সভাপতি আনন্দ রায়। তাঁর মোবাইলের দুটি নম্বরই সুইচড অফ। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে এফআইআর।
৪ এপ্রিল এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আনন্দ রায়। এরপর থেকেই একরকম নিরুদ্দেশ কেশপুরের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরেও কোথাও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তৃণমূল নেতার ছেলে রত্নদীপ রায়ের দাবি, অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে তার বাবাকে। অপহরণের কথা বলতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিখোঁজ তৃণমূল নেতার স্ত্রী অরুণা রায়।
অন্যদিকে কাটমানির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল এই ঘটনা, কটাক্ষ বিজেপি নেতার।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৪ তারিখেই একটি সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল আনন্দপুরে। সেই বৈঠকে অন্যান্য বুথ সভাপতিরা উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন আনন্দ রায়। জানা গিয়েছে, রাজনীতির পাশাপাশি একটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের দায়িত্বও সামলাতেন আনন্দ রায়। নিরুদ্দেশ নিয়ে ধন্দে তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ নম্বর অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিত্ বরদলুই। তবে কী কারণে অপহরণ বা কীভাবে অপহরণ, তা নিয়ে ধন্দে গোটা পরিবার।
উল্লেখ্য, অতীতে একাধিকবার কেশপুরের সাহসপুর, আগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি একাধিক সময়ে ঘটেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনাও। তবে অপহরণের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান শাসকদলের নেতারা।
শাসকদলের তরফে অবিলম্বে নিখোঁজ নেতাকে খুঁজে বের করার আবেদন জানানো হয়েছে পুলিসের কাছে। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তে নেমেছে পুলিস।