বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার সহ চারজনকে। গতকাল ইডি আধিকারিকরা অশোকনগর এলাকা সহ রাজ্যের নটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়। মূলত বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাজার কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার, তাঁর ভাই পৃথ্বীশ হালদার সহ চারজনকে গ্রেফতার করল ইডি। অভিযান চলে মত্স্য ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার বাড়িতেও। ইডি আধিকারিকরা সেই বাড়িটি সিল করে দেন।
সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত হালদার বা পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এপ্রিল মাসেই ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়। নোটিস জারি হয় মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার বিরুদ্ধেও। শুক্রবার অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নথি উদ্ধার করা হয়।
একটি ভুয়ো কোম্পানি দেখিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বাংলাদেশী মুদ্রায় হাজার কোটি টাকা তোলে মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার। এরপর সেই টাকা হাওয়ালা মারফত এসে পৌঁছেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তদন্তে এমনই উঠে আসে। সেই তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে চলতি মাসে যোগাযোগ করা হয় ভারত সরকারের সঙ্গে। এরপরই ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশ থেকে আসা টাকার উৎস খুঁজতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। সেই তদন্ত শুরু করে শুক্রবার অশোকনগর, কলকাতার বাইপাসের একটি অফিস ও ভাঙড়ের মোট ৯টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর শনিবার বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার সহ চারজনকে গ্রেফতার করে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, এই অভিযুক্তদের মাধ্যমেই টাকা ভারতে এসে পৌঁছত। এদের পিছনে অন্য কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ আছে কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।