উচ্চমাধ্যমিকে এবার পরীক্ষার্থীরা সব সাবজেক্ট বা বিষয়েই রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবেন। এতদিন যে পদ্ধতি চলে আসছিল, তাতে কেললমাত্র দুটি বিষয়ে তাঁরা রিভিউ করাতে পারতেন। এ বছরের জন্য সেই নিয়মে পরিবর্তন আনল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
কিন্তু হঠাত্ এই পরিবর্তন কেন? কেনই বা হঠাত্ এমন উদার হয়ে গেল সংসদ? তাদের রিভিউ সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা বের হওয়ার পরই এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের চাপে পড়েই কি এই উদারতা?
সংসদের ইতিহাসে এবারই প্রথম নিজের স্কুলে হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চেনা পরিবেশে চাপমুক্তভাবে পরীক্ষা দেওয়ার এই সুযোগ ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে বলে সংসদ জানিয়েছিল। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের পর এটিই মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন প্রথম দশে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, অন্যদিকে অকৃতকার্যও হয়েছেন অনেকে। সেই ফেল করা পড়ুয়ারা গত কদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পথ অবরোধও হয়েছে বহু জায়গায়। স্রেফ পাশ করানোর দাবিতে এ ধরনের বিক্ষোভ রাজ্যে আগে কখনও হয়নি। নদিয়ার একটি স্কুলের পড়ুয়ারা সরাসরি চলে এসেছিলেন সল্টলেকে, বিকাশ ভবনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে। যদিও তাঁদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই পুলিস আটকে দেয়।
বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আমব্রেলা বানান বিতর্ক তো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
সংসদ যদিও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, অকৃতকার্যদের মূল্যায়নে কোনও গাফিলতি নেই। মূল্যায়ন হয়েছে সঠিকভাবেই। তবুও প্রশ্ন উঠেই গেল, চিরাচরিত নিয়ম বদলে এবার সব বিষয়কেই কেন রিভিউয়ের আওতায় আনা হল?