২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Goghat: এ যেন এক অন্য উমা, স্বামীহারা মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে নিয়ে একচিলতে ভাঙা ঘরেই সুখের আশা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-02 10:55:51   Share:   

ভোট আসে ভোট (vote) যায়, কিন্তু এই অসহায় মানুষগুলির দিন আর বদলায় না। পরিবারে স্বামীহারা ৭৫ উর্ধ্ব বৃদ্ধা মহিলা, আর প্রায় ৪০ পার মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান।  এছাড়া নিজের বলতে আর কেউ নেই। বৃদ্ধা মা সন্তানের চিকিৎসার (treatment) জন্য সর্বস্ব খুইয়ে আজ নিঃস্ব সম্পূর্ণভাবে, চিকিৎসাও করাতে পারেননি অর্থের অভাবে। কোনওরকমে পাড়াপড়শির সঙ্গে চেয়ে চিনতে দিন গুজরান করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে রোজগার বলতে কোন কিছুই নাই। সবটাই নির্ভর করে গ্রামবাসীদের সাহায্যে উপর। মানুষের কাছে হাত পেতে যেমন জোটে তেমনভাবেই দিন কাটান। গল্পটি এক অন্য উমার (Uma)। গোঘাটের শ্যামবাজার এলাকায় ঝোপঝাড়ের মধ্যে ছোট্ট একটি চারদিকে ভাঙা একচিলতে বাড়ি। আর এই ভাঙা ঘরে কবে ঢুকবে আলো, সেই আশাতেই বুক বেঁধে ৭৫ উর্দ্ধ অঞ্জনাদেবী।

পরিবার সূত্রে খবর, স্বামী জীবিত থাকাকালীন সংসারে স্বচ্ছলতা একসময় ভালই ছিল, স্বামীর রোজগারের ওপর হাসতে খেলতে সংসার চলত। দীর্ঘ ২৫ বছর আগে হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বামীর মৃতু হয়। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে সংসারে স্বচ্ছলতা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তারপর আরেক বিপদ এসে সামনে দাঁড়ায় ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর মিস্ত্রি কাজ করে ভালোই রোজগার করতেন তিনি। তাঁর বিয়েও হয় বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর হঠাৎই ছেলের স্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান। তারপর থেকেই ছেলে মানসিক রোগী হয়ে দাঁড়ায়। যোগ্য ছেলে থাকার সত্ত্বেও আজ অনাহারেই এক প্রকার দিন কাটাচ্ছেন মা অঞ্জনা প্রামানিক। বৃদ্ধা হতদরিদ্র এই মানুষটি এখন একটি ভাঙা জরাজীর্ণ বাড়িতে কোনওরকমে ফ্যান ভাত ফুটিয়ে সন্তানকে নিয়ে মাথা গুঁজে রয়েছেন।

তবে তিনি জানান, মান্যসিক ভারসাম্যহীন এক ৪০ বছরের ছেলে নিয়ে চোখ ভরা জল আর একরাস হতাশা নিয়ে বেঁচে আছেন কোনওরকমে। এই দুর্গাপুজোতেও তাঁদের কাছে শুধু বেঁচে থাকার লড়াই। বৃদ্ধা মা এক ছেলেকে নিয়ে বেঁচে থাকার এক অধ্যায়। এই সংসারের যেন উত্সবের মাঝেও বিষাদের সুর। 


Follow us on :