১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Durgapur: অভিনব কায়দায় চুরি! পাউডারের প্যাকেট ধরিয়ে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট একদল দুষ্কৃতী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-20 14:18:49   Share:   

মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধান, অভিনব কায়দাতে দুষ্কৃতী হানা শহর দুর্গাপুরের (Durgapur) দুটি বাড়িতে। সোনার অলংকার (Gold ornaments)-সহ আরও বেশ প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতী দল। দুষ্কৃতী তাণ্ডবে এখন আতঙ্কিত শহরবাসী। তদন্তের আশ্বাস দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের। রাতের ঘুম উড়েছে শহরবাসীর।

প্রসঙ্গত, অভিনব কায়দাতে চুরির (theft) কৌশলের ছক শহর দুর্গাপুরে। আর এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদল শহরের পরপর দুটি বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় লাখ চারেক টাকার সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের প্রথম টার্গেট ইস্পাত নগরীর এজোনের সেকেন্ডারী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মীর বাড়ি। সেখানে দুষ্কৃতীরা প্রথমে সোনার অলংকার, বাসনপত্র পালিশের নাম করে গৃহকর্তাকে বলেন। দুষ্কৃতীদের কৌশলগত এই পাতা ফাঁদে পা দেন পরিবারের মহিলারা। প্রথমে বাসনপত্র পরিষ্কারের কথা বলা হয়, পড়ে বলা হয় বিশেষ এই পাউডার সোনা রুপোর অলংকারও সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয়। পরীক্ষা করার নাম করে গৃহস্থকে বলা হয় সোনা বা রুপোর অলংকার নিয়ে আসতে। এরপরই পুরনো নকল সোনাকে চোখের নিমেষে সামনে নিয়ে এসে গৃহস্থ্যের আসল সোনা রুপোর অলংকার নিয়ে নেয় নিজেদের হেফাজতে। পুরনো নকল সোনা গৃহস্থ্যের হাতে ধরিয়ে দিয়েই নিমেষে এই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। আর যতক্ষণে প্রতারিতরা আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারেন, ততক্ষণে পগার পার এই দুষ্কৃতীরা।

দিন দুয়েক আগে ইস্পাত নগরীর সেকেন্ডারী এলাকার বাসিন্দা অরূপ চৌধুরীর বাড়িতে যায় এই দুষ্কৃতীদের দল। অভিযোগ, দুটি সোনার চেন ও দুটি সোনার আংটি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিকের ওপর। ঘটনার তদন্তে যখন দুর্গাপুর থানার পুলিস, ঠিক তখনই ফের নেক্সট টার্গেট হয় দুষ্কৃতীদের দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত বেনাচিতি সংলগ্ন গোয়েল গলির একটি বাড়িতে। এখানেও একই ছকে গণেশ চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে একই কৌশল অবলম্বন করে তারা। সোনার অলংকার সহ প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী।  একটি পাউডারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরপর দুটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এখন দিশেহারা শহরের মানুষ। দুষ্কৃতীদের পরবর্তী টার্গেট কোথায়? এই আতঙ্কে এখন দিন কাটছে শহরের মানুষের। পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি যে প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে সেটা স্বীকার করে নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুলিসকে বলা হয়েছে, তদন্তে যাতে আরও গতি আসে। গোটা ঘটনায় এখন টানটান উত্তেজনা শহর দুর্গাপুরে।


Follow us on :