Share this link via
Or copy link
আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির (property) হদিস পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ প্রসন্নকুমার রায়ের (Prasannakumar Roy)। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের হোটেলের (hotel) খোঁজ মিলল উলুবেড়িয়া (Uluberia) গাদিয়াড়ায়। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে এই হোটেলটি কিনেছিলেন প্রসন্ন। উলুবেড়িয়া গাদিয়ায় হোটেলটির নাম বর্তমানে চলন্তিকা রিসোর্ট। শ্রী দুর্গা ডেলকম প্রাইভেট লিমিটেড নামে। হোটেলে এসে খোঁজখবর নিলে জানা যায়, হোটেলের মালিককে কখনও দেখেননি কর্মচারীরা। বর্তমানে কে ম্যানেজার, তাও তাঁরা জানেন না। তবে হোটেল নেওয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই নামিদামি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গেস্ট আসতো এখানে। গাদিয়াড়া চলন্তিকা রিসোর্টটি প্রায় সাড়ে আট থেকে দশ বিঘা জমির উপর বিলাসবহুল তৈরি।
এছাড়াও, কয়েক কাটা বা কয়েক বিঘা নয় ১৮৩ একর জায়গাজুড়ে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল। এই সমস্তটাই বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে করা হয়েছিল বলে জনস্বার্থ মামলা হয়, উচ্চ আদালতে এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় বিধাননগর পুরনিগমকে যাতে এই জলাভূমিগুলিকে উদ্ধার করা হয়। এই মুহূর্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিসের উপস্থিতিতে বিধাননগর পুর-নিগম সেই জলাভূমিগুলিকে পুনরুদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। আর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীবলাল ধর। রাজীবলাল ধর এর আগে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল, প্রাইমারি শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার চক্রে মাথা ছিল বলে অভিযোগ রাজীব লাল ধরের বিরুদ্ধে।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছয়নাবি কুলিপাড়া এলাকায় শুধুমাত্র দুর্নীতির টাকা খাটিয়ে সম্পত্তি বিস্তার নয় বেআইনিভাবে একাধিক জলাভূমিও ভরাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানে কাজ করতে আসা কর্মীদের দাবি, দীর্ঘ বছর ধরে চলছে এই কাজ, জলাভূমি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো কি কারও চোখে পড়লো না পুলিস-প্রশাসন বা পুরনিগম আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। গঙ্গারামপুর থানায় এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷ এই মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল মাথা হিসাবে নাম উঠে আসে রাজীব লালধর নামে এক ব্যক্তির। তাকেও পরবর্তী সময় অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ মাসে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। আর এই রাজীব লাল ধর তিনি হলেন প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ। বিধাননগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮৩ একর জলাভূমি ভরাট করে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল, সূত্রের খবর, রাজিব লাল ধর এর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার মূল দায়িত্বে ছিল।