ছেলের মৃতদেহ (deadbody) আগলে রাখলেন মা। মৃতদেহ থেকে এতটাই দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে যে, টেকা দায় হয়ে যায় স্থানীয়দের। দুর্গাপুর (durgapur) ইস্পাত নগরীর সেকেন্ডারি এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিস। পচাগলা দেহ বের করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। বেশ কয়েকদিন আগেই ছেলেটি মারা গেছে বলে পুলিসের অনুমান। চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে।
দিন কয়েক ধরে পেটের রোগে ভুগছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর সেকেন্ডারি এলাকার ৩১/১৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা বছর চল্লিশের সুশীল জানা। মা বেলা জানা গতকাল রাতেও ছেলের জন্য ওষুধ নিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লবরঞ্জন নাগের কাছে। আজ সকালেও ছেলেকে হাসপাতালে (hospital) ভর্তির জন্য স্থানীয়দের কাছে আর্জি জানান।
এদিকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় অতিষ্ঠ মানুষজন। সন্দেহ হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়রাই ঘরে ঢুকতে গেলে গন্ধ পান। ভিতরে ঢুকে দেখেন সুশীলের পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার মধ্যে। এরপরই তাঁরা দুর্গাপুর থানায় (durgapur police station) খবর দেন। পুলিস আসে ঘটনাস্থলে। মৃতদেহ এতটাই পচে গিয়েছিল যে, তা বাইরে আনতে গিয়ে কালঘাম ছোটে পুলিস সহ স্থানীয়দের।
বছর কয়েক আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে বড় ছেলেকে আলাদা করে দেন মা বেলাদেবী। ঠিক পাশের বাড়িতেই বড় ছেলে তাঁর স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতেন। তাঁদের দাবি, ঘূণাক্ষরেও তাঁরা টের পাননি ঘটনার। দুর্গন্ধ বেরোতেই সন্দেহ হয় গোটা পাড়ার। তারপরই জানতে পারেন, সুশীল মারা গেছেন।
বেলা জানা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে। তবে দাবি, তিনি কিছুই জানতে পারেননি।
স্থানীয়দের দাবি, অনেকদিন আগেই মারা গেছেন সুশীল। মা বেলাদেবী ছেলের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন এই বিশ্বাসে যে, ছেলে আজও বেঁচে আছে।
গোটা ঘটনায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইস্পাত নগরীর এ জোনের সেকেন্ডারি এলাকার ৩১ নম্বর স্ট্রিট এলাকায়। পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য সেই দেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।