চাকরি দেওয়ার নাম করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাছে থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা তোলার অভিযোগ উঠল এবার ভাঙড়ের (Bhangar) এক শিক্ষকের (teacher) বিরুদ্ধে। সেই টাকা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে গিয়েছে বলেই অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার শিখরপুর (Shikharpur), ঝালিগাছি (Jhaligachi), উত্তর নওয়াবাদ (North Nawabada), দক্ষিণ নওয়াবাদ, বাগু এলাকা থেকে প্রায় ২০ জন শিক্ষিত যুবকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলেন অভিযুক্ত।
২০১২ সালে চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের নাম রেজাল্টের প্রথম লিস্টেই থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভাঙড়ের অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুদ্দিন বৈদ্য। কিন্তু ২০১৩ সালে যখন প্রাথমিক নিয়োগের রেজাল্ট বের হয়, সেই লিস্টে কারোরই নাম ছিল না। তখন নুরুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালে যে পরীক্ষা হবে, সেই পরীক্ষার লিস্টে নাম উঠবে। সেইমতোই পরীক্ষার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা করে নেন তিনি। গ্রুপ ডি এবং প্রাইমারি নিয়োগের নাম করে মোট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা তোলেন নুরুদ্দিন। এরপর ফের বের হয় ২০১৫ সালের প্রাথমিকের রেজাল্ট। তবে লিস্টে যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের নাম ছিল না। এরপরেই তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। সেই থেকে নুরুদ্দিনকে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। ২০১৭ সালে নুরুদ্দিন টাকা ফেরত দেওয়ার একটি এগ্রিমেন্ট করেন। সেই এগ্রিমেন্টের পর টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেন নুরুদ্দিন।
তিনি জানান, চাকরির জন্য আরামবাগের স্কুলের শিক্ষক শিশিরকুমার দলুইকে ৮৬ লক্ষ টাকা এবং দেবনাথ ও অর্ণব বন্দে নামের আরও দুজনের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে তিনিই প্রতারিত হয়েছেন।