Share this link via
Or copy link
বিপদজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে স্কুলের (school) পাঁচিল। একটি লাল পতাকা আর সতর্কবার্তা দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা (accident)। তবে তারই হয়তো অপেক্ষায় দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসার বামুনারা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমনই অভিযোগ অভিভাবক থেকে স্থানীয়দের। অভিযোগ, নয় নয় করে প্রায় ৫০০ জন শিশু (children) পড়াশোনা করে এখানে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চলে প্রতিদিন। কিন্তু স্কুলপড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের প্রাণের ঝুঁকিও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
অভিভাবকরা জানান, স্কুলের পাঁচিল বিপদজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে স্কুল গেটের গা ঘেঁষে। মাস পাঁচেক হল এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে পাঁচিলটি। এতে স্কুল পড়ুয়াদের তো বটেই, স্কুলে দিতে আসা অভিবাবকদের প্রাণের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কারণ, স্কুল খোলা ও ছুটির সময় অভিবাবকেরা এই পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু অবাক করা ঘটনা হল এতো কিছুর পরও হুঁশ নেই কারও। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিপদজ্জনক এই পাঁচিলের গায়ে একটি লাল ফ্ল্যাগ আর সতর্কবার্তা লাগিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাফাই, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সরকারি কাজে যে ধরণের ঢিলেমো চলে সেই ধরণের ঢিলেমো চলছে।
কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য এই গ্রামেই থাকেন। তাঁর বক্তব্য, এই বিষয়ে কিছু জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে তিনি আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এই দুইয়ের দড়ি টানাটানির মধ্যে পড়ে এখন বিপদজ্জনক এই পাঁচিল গোটা বামুনারা অঞ্চলে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রতিনিয়ত গ্রামের মানুষজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় বিপদ তাঁদের ক্ষেত্রেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কেন তারা সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি এতদিনেও, তা নিয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গার স্কুলগুলিতে দুর্ঘটনার খবর উঠে এসেছে। এরপরও হুঁশ নেই কেন? কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।