Share this link via
Or copy link
মানধাত্তা আমলের হয়ে গিয়েছে পানীয় জল সরবরাহের পাম্পিং মেশিন (Pumping machine)। যার জেরে মাঝে মাঝেই সেই মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবাসিকদের মধ্যে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত সগরভাঙা হাউসিং কলোনির।
জানা যায়, সরকারি এই কলনিতে বেশ কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন। যা শাসকের অধীনেই, কিন্তু সরকারি এই আবাসনের একাংশতে এমন বেহাল অবস্থাতে পানীয় জলের সংকট শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করে দেওয়া হয়। বিকল পাম্পিং মেশিনকে সচল করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন কাটতে না কাটতেই সেই একই অবস্থা।
সগরভাঙা হাউসিং কলোনির এল ব্লক, পি ব্লক, কুরআন ব্লকের আবাসিকদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। মাঝে সগরভাঙা কলনিতে থাকা সরকারি এক দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এই তিনটি ব্লকের আবাসিকরা। এরপর কাজ হয়েছিল, কিন্তু আবার যেই কে সেই। এই সমস্যার জেরে এক দুদিন জল থাকেনা এই তিন ব্লকের আবাসিকদের ঘরে। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে যান আবাসিকরা। হয় দূরের রাস্তার কল নচেৎ কিনে আনা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা থাকেনা বলে আবাসিকদের অভিযোগ। তীব্র পানীয় জল সমস্যায় জর্জরিত এখানকার আবাসিকরা এখন এই জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। কিন্তু মুক্তি কি মিলবে? উত্তরটা এখনই না, আর যদিও বা যন্ত্রনা মুক্তি মেলে সেটা অনেকটা সময় সাপেক্ষ। আবাসিকদের প্রশ্ন কেন?
সরকারি হাউসিং দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ডিপিএল থেকে আসা জল পাম্পিং করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রিজার্ভর থেকে কলোনির সব আবাসনে সরবরাহ করা হয়। এখন সেই পাম্পিং মেশিন পুরোনো হয়ে গিয়েছে। যা ব্যবহারের অযোগ্য। এবার মানধাত্তা আমলের এই মেশিনকে মেরামতি করে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনওরকম একটা চেষ্টা চলছে। এখনই যদি এই দীর্ঘদিনর পাম্পিং মেশিন পরিবর্তন না করা যায় তাহলে ধীরে ধীরে এগুলির অবস্থা আরও খারাপ হবে। উর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে কিন্তু আর্থিক সংকট এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় তৈরি করছে।
কবে মিলবে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি? সেটাই বড় প্রশ্ন এখন আবাসিকদের মনে।