Share this link via
Or copy link
এক সময় জঙ্গলে ঘেরা ছিল শহর দুর্গাপুর (Durgapur)। ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের স্বপ্নের দুর্গাপুর এরপর ধীরে ধীরে নগর সভ্যতার যুগে প্রবেশ করে। একটা একটা শিল্প তৈরি হয় এই শহরে। শিল্পের বিকাশে দুর্গাপুরের মুকুটে আরও একটি পালক জোড়ে। দুর্গাপুরের আগে লেখা শুরু হল শিল্পাঞ্চল শব্দটি। তবে নগর জীবনে ঢোকা মাত্রই শহরের বেশ কিছু এলাকায় তৈরি হয়েছে বহুতল (flat)। আর এখানেই সমস্যা।
সূত্রমাফিক জানা গিয়েছে, ৩০ তলা পর্যন্ত বহুতল নির্মাণের অনুমতি মিলতে চলেছে দুর্গাপুর শহরে। পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত, আর পুরসভা এলাকায় দুর্গাপুর নগর নিগম এই বহুতল নির্মাণের নকশা দেখে অনুমতি দিচ্ছে। এরপর রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা এডিডিএ, ফায়ার ডিপার্মেন্ট সহ আরও বেশ কিছু সরকারি সংস্থার ছাড়পত্র। এক কথায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সবুজ সংকেত মেলার পরই প্রোমোটার ছাড়পত্র পায় বহুতল নির্মাণের। কিন্তু শহর দুর্গাপুরের বুকে গড়ে ওঠা আকাশ চুম্বী এই বহুতলগুলি কতটা নিরাপদ? আদতে কতটা নিরাপদ এখানকার বসবাসকারী আবাসিকরা? প্রশ্নটা সোজা কিন্তু উত্তরটা ততটাই ভয়ঙ্কর।
প্রায় ১৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে দুর্গাপুর নগর এলাকা। ৮ টি থানা রয়েছে এই মহকুমাতে। কিন্তু এই বহুতলগুলির আবাসিকদের নিরাপত্তা আজও উপেক্ষিত। আবাসিকদের জীবন নিয়ে চলে অবাধ সাপ লুডোর খেলা। যদিও বড় ধরণের কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তবে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে এই শহরের বুকে। দুর্গাপুরের দমকল বিভাগে ছোট বড় মিলিয়ে দশটি ইঞ্জিন রয়েছে, রয়েছে দমকল কর্মীদের নিয়ে তৈরি বিশেষ বাইক বাহিনীও। কিন্তু আজও এই ফায়ার স্টেশনে নেই হাইড্রোলিক ল্যাডার, অর্থাৎ বহুতলগুলির এক্কেবারে টপ ফ্লোরে কোথাও যদি আগুন লাগে, তাহলে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা নেই।
এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশনের আধিকারিক রহমান চৌধুরীর গলাতে ছিল অসহায়তার সুর। তবে যেভাবে শহরের বুকে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে তাতে করে অবশ্যই প্রয়োজন এই হাইড্রলিক ল্যাডার। যদি সরকার প্রয়োজন মনে করে তাহলে নিশ্চয় এই ল্যাডার এসে পৌঁছবে। অন্যদিকে এক দায়সারা বক্তব্য রাখলেন দুর্গাপুর সিটি সেন্টার ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ রহমান চৌধুরী।