মেশিন খারাপ। সিস্টেমে গলদ। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন যাবৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swastha Sathi Card) পরিষেবা মিলছে না খড়িবাড়ি (Kharibari) গ্রামীণ হাসপাতালে। তবুও হেলদোল নেই ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের। ক্ষুব্ধ হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসা করাতে আসা প্রান্তিক সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্নায়ু ও কিডনির সমস্যা নিয়ে গত ১৬ মে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন খড়িবাড়ি ভালুকগাড়ার (Valukgara) ননীগোপাল সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। ননীগোপালের স্ত্রী শিল্পী সিংহ সরকার স্থানীয় চা বাগানের শ্রমিকের কাজ করেন। শিল্পীদেবীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। সেই ভরসায় তিনি স্বামীর চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিত্সকরা ননীগোপালের সুচিকিৎসার বিভিন্ন পরীক্ষা, ওষুধ ও ইঞ্জেকশন লিখে দিচ্ছেন। আর শিল্পীদেবী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতালের রোগী পরিষেবা কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, মেশিন ঠিক নেই, সিস্টেমে গলদ রয়েছে। বাইরে থেকে সব নিজের খরচায় করতে হবে। শিল্পীদেবীর সামান্য আয়। তাই স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে তাঁকে হাসপাতালের বাইরে স্থানীয় লোকেদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি ওষুধ কিনতে হচ্ছে। তবে এই ঘটনা শুধু শিল্পীদেবী নয়, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা বহু সাধারণ মানুষেরও।
খবর পেয়ে বিজেপির যুব মোর্চার দার্জিলিং জেলা সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ (Kanchan Debnath) খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সরকার ঢাকঢোল পেটাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকও বিষয়টি নিয়ে উদাসীন।"
অন্যদিকে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী সহায়ক মন্মথ বর্মণ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবার সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, টেকনিক্যাল কারণের জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে পরিষেবার সমস্যা হচ্ছে।
পাশাপাশি খড়িবাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিত্সক সফিউল আলম মল্লিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সোমবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দেন।