কোচবিহারের হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। কিছুদিন আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। নিজের প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে অনৈতিকভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতে তীব্র ভর্ত্সনার মুখে পড়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন তিনি।
এরপর গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে। সেখানেই দেখা যায়, হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, প্রথম মেধাতালিকায় প্রথম ২০ তে নাম না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় অবৈধভাবে। ওই মেধাতালিকার ২০ নম্বরে যে এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম ছিল, তাঁর থেকেও ১৬ নম্বর কম পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। যেখানে ২০ নম্বরে থাকা পরীক্ষার্থী ববিতার নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতার নাম মেধাতালিকায় ঢোকানোয় ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।
এই মামলায় অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, তাঁকে এ পর্যন্ত দেওয়া সমস্ত বেতনও ফেরত দিতে হবে। দু’টি কিস্তিতে বেতনের টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে। সেইমতো তিনি বেতন ফিরিয়েও দিয়েছেন।