এখনও দেশ থেকে পুরোপুরি চলে যায়নি কোভিড (Covid)। তার মাঝেই ধাপে ধাপে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স (Monkey pox)। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। গত ১৩ মে থেকে ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্স। আফ্রিকা থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে, উদ্বেগ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে সতর্কবার্তা দিয়েছে হু (WHO)।
এরকম একটা অবস্থায় মাঙ্কি পক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস মোকাবিলায় কী করণীয়, তা সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, গায়ে Rash বের হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটা দেশে ২১ দিনের মধ্যে গিয়ে থাকলে হতে হবে সতর্ক। উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ পেলে স্টেট সার্ভেল্যান্স অফিসারকে জানাতে হবে।
এবার দেখা যাক, মাঙ্কি পক্স আসলে কী? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি একটি বিশেষ ধরনের বসন্ত। এই ভাইরাসটি সংক্রামক (contagious)। নাক-মুখ-চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের জামা-কাপড় থেকেও সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর শুরুতে জ্বর (Fever), মাথাব্যথা (headache), ঠান্ডা লাগা, শরীর ব্যথা, ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এরপর মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে বেদনাদায়ক ফুসকুরি এবং ঘা-এর মতো দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরল এই মাঙ্কি পক্সের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি নেই। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে এর নাম মাঙ্কি পক্স হলেও একাধিক বন্যপ্রাণীর মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সবচেয়ে বেশি এই সংক্রমণ ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।