চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (swastha sathi card) পরিষেবা মেলেনি। শেষমেশ জমি বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকার বিল মিটাতে হল পুরশুড়া (pursura) থানার খুশিগঞ্জের সুখেন কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তিকে। পেশায় তিনি এটিএম কাউন্টারের সিকিউরিটি গার্ড। কর্মসূত্রে থাকেন তারকেশ্বরে (tarakeswar)। জানা যায়, কিডনিতে (kidney) স্টোন হওয়ার কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিল তাঁর সাত বছরের মেয়ে। গত ১৫ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য সুখেনবাবু তাঁর মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
সুখেনবাবু জানান, প্রথমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করানো হবে বলে ভর্তি করে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে নার্সিংহোমের তরফ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁর মেয়ের নাম নেই। এদিকে নার্সিংহোমে দুদিনের বিল প্রায় ষাট হাজার টাকা হয়ে যায় অপারেশন ছাড়াই। বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি। শেষে নিজের জমি বিক্রি করে দুদিনের নার্সিংহোমের বিল মিটিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁর স্ত্রীর নামে আছে। ওই কার্ডে তাঁর এবং মেয়ের নামও নথিভুক্ত করেছিলেন ব্লক অফিসে গিয়ে। অথচ নার্সিংহোম থেকে বলে দেওয়া হয়, তাঁর মেয়ের নাম নেই। কিন্তু ওই কার্ডে তিনজনেরই ছবি আছে। তাহলে কি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে? কারণ, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়ার জন্য, সেখানে কী করে ওই নার্সিংহোম এত টাকার বিল ধরাতে পারে?
অন্যদিকে সেই সময় এত বড় অঙ্কের বিল দেখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের একাধিক দফতরে যোগাযোগ করেন তিনি। এমনকি স্বাস্থ্যসাথীর হেল্প লাইনে ফোন করেও কোনও সুরাহা পাননি বলে দাবি করেন তিনি। সুখেনবাবু চান, এইভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বেনিয়ম যাতে বন্ধ হয়, তারজন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক রাজ্য সরকার।