হাইকোর্টের নির্দেশে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ড এবং হত্যালীলার তদন্তভার নিয়ে শনিবারই মাঠে নেমেছে সিবিআই। ওইদিনের মতো এদিনও সিবিআই আধিকারিকরা গ্রাম, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। তবে একটি বিষয়ে এখনও উত্তর মিলছে না। তা হল, ঘটনার দিন অর্থাত সোমবার রাতে ওই গ্রামে নয় নয় করে শখানেক মানুষ ঢুকেছিল বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। কিন্তু এফআইআরে নাম রয়েছে মাত্র ২২ জনের। তাহলে বাকিরা কারা, এটা জানতেই ততপর সিবিআই। এর জন্য ওই গ্রামে প্রবেশ করার পথে কোনও সিসিটিভি আছে কি না, থাকলে তার ফুটেজ পুলিসের কাছে চাওয়া হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন সোনা শেখের বাড়ি থেকে পুড়ে যাওয়া দুটি মোটরবাইক বের করা হয়। তার আগে একটি শাবল এবং হাঁসুয়া পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, শাবল দিয়ে দরজার তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকেছিল এবং হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআইয়ের একটি দল আজ গিয়েছিল হাসপাতালেও। অগ্নিদগ্ধ হয়ে যারা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে, তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই। কখন তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই সময় কোন ডাক্তার ডিউটিতে ছিলেন, কারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন এই ধরনের প্রচুর তথ্য তাঁরা সংগ্রহ করেন। হাসপাতালে তিনজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
এদিকে এদিনই এই মামলার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল সহ ধৃত চারজনকে থানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআই ক্যাম্প অফিসে। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
যাওযার পথে নানা প্রশ্নের উত্তরে আনারুল যা জানিয়েছেন, তার মোদ্দা কথা হল তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কারা এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত, তার স্পষ্ট উত্তর অবশ্য তিনি দেননি।
অন্যদিকে, এদিন ওই গ্রামে যান বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। উল্লেখ্য, যে সব জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তার মধ্যে আবেদনকারী হিসাবে অন্যতম তিনিও ছিলেন। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর তিনি কী বললেন, শোনা যাক।