ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রেফতার নিহত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু। মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়ার পর বুধবার তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়, এমনই খবর পুলিস সূত্রে। এরপর ঝালদা কাণ্ডে ৬ সদস্যের সিট গঠন করে জেলা পুলিস। ঘটনায় নেওয়া হচ্ছে সিআইডির সাহায্য, জানালেন পুলিস সুপার। এদিন পুরুলিয়া জেলা আদালতে সিজেএম কোর্টে ধৃতকে তোলা হলে বিচারক রীনা তালুকদার ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তবে এই একজন গ্রেফতার হওয়ায় সম্তুষ্ট নন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। তিনি জানান, এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি চান।
উল্লেখ্য, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবার তৃণমূলের টিকিটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তিনি হেরে যান। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার সদ্য জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দুর। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া। নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী প্রকৃত দোষীর শাস্তির দাবি করছেন। না হলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে এদিন জানান।
পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার ঝালদায় যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সদ্য পুর নির্বাচনে ঝালদায় ১২ টি আসনের মধ্যে সমান সমান আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। ৫ টি করে আসন পেয়েছে দুই দলই। বাকি ২টি আসন পেয়েছে নির্দল। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ঝালদা পুরসভায়। এর মাঝে ৪ বারের জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।