Share this link via
Or copy link
আসানসোলের (Asansol) কাল্লা মোড়ে ট্রাফিক পুলিসকে (Traffic police) তৃণমূল কাউন্সিলরের হুমকি। সাফ জানানো হয়েছে, "তোলাবাজি বন্ধ করুন। না হলে মেরে গুটিয়ে দেব। চাকরি করতে এসেছেন চাকরি করুন। বেশি হনু হয়ে গিয়েছেন? কিছু বলি না বলে যা খুশি তাই? একদম চুপ। একদম চুপ। চুপ করে বসুন। গরিব মানুষের থেকে শুধু ফাইন? তোলাবাজি?" এমন ছবিই ধরা পড়ল সিএন-এর ক্যামেরায়।
ঘটনার সূত্রপাত আসানসোল কর্পোরেশনের (Asansol Corporation) এক সাফাইকর্মীর দু'চাকা গাড়ি ধরাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার সকালে কাজে আসার সময় হঠাৎই ফোন আসে কর্পোরেশনের এক সাফাই বিভাগের কর্মীর। হেলমেট খুলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কথা বলেন সেই কর্মী। ঠিক সেই সময় আসানসোলের কাল্লা মোড়ে ট্রাফিক পুলিস তাঁর গাড়ি ধরে বলে অভিযোগ। এরপর ১০০০ টাকা ফাইন ও চালান কেটে দেন। খবর পৌঁছয় আসানসোলের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম সরেনের কাছে। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন শ্যাম সরেন। আঙুল তুলে কথা বলতে থাকেন কাউন্সিলর। পুলিস ও কাউন্সিলরের মধ্যে ব্যাপক বচসা শুরু হয়। জাতীয় সড়ক অবরোধের হুমকি ও দেওয়া হয়।
কাউন্সিলর শ্যাম সরেনের কথায়, ওই এলাকায় পুলিস তোলাবাজি করছে। সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করছে। কর্পোরেশনের কর্মীদেরও ছাড়ছে না। যাদের মাত্র রোজ আয় ১৫০ টাকা তাঁদের ও ১০০০ টাকা ফাইন করছে। অনেক অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে চালান বাতিল না করলে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। এরকম আর দ্বিতীয়বার বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পুলিসকে মেরে গুটিয়ে দেওয়া হবে।
তাঁর এমন মন্তব্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সাফাই কর্মীদের পক্ষ থেকে ঘেরাও করা হয় কিয়স্কও। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অপর এক কাউন্সিলর উৎপল সিনহা। তাঁর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। ক্যামেরায় না বললেও পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির গাড়িতে হেলমেট ছিল। মাথায় ছিল না। তাই ফাইন করা হয়েছে।