Share this link via
Or copy link
প্রায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সোদপুরের এক কিশোর (Student Missing)। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর (Sodepur Incident) শেঠ কলোনির বাসিন্দা বছর ১৩-র সৌমদ্বীপ পাল সোমবার বিকেলে পাশের পাড়ায় শিক্ষকের বাড়ি নোটস নিতে যাবে বলে বেরোয়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নিখোঁজ কিশোরের মায়ের দাবি, 'তাঁর ছেলের সঙ্গে কোচিং সেন্টারে শুভ্রাংশু নামে এক বন্ধু পড়ে। তার থেকে নিখোঁজ পড়ুয়া ৬০০ টাকা ধার নিয়েছিল। বন্ধু শুভ্রাংশু সেই টাকা ফেরতের জন্য সৌমদ্বীপকে বারবার চাপ দিচ্ছিল। দু'জনের মধ্যে একটা ঝামেলাও হয়েছিল।'
বাড়ির লোকের অভিযোগ, 'ওই বন্ধুর কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।' এদিকে, নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের থেকে খড়দহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানা। সোদপুরের স্টেশন রোডের রাস্তার এক সিসি ক্যামেরায় ওই কিশোরকে শেষ দেখা গিয়েছে।
এদিকে, নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনা। নিখোঁজ ছাত্রের নাম বলরাম রাজবংশী। বাড়ি কুমোরপাড়া সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের কাছে। বুধবার থেকে নিখোঁজ ওই ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, 'বলরাম বাগুইআটির প্রতিবেশীপাড়ার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। ওই ছাত্রী আবার মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বলরামের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ওই মেয়েটির হাত আছে কিনা সন্দেহ।' দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলরামের মা আরতী রাজবংশী।
নিখোঁজ ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে ছিল ওই ছাত্র। ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে মেয়েটিকে দামি উপহার দিয়েছিল বলরাম। কিন্তু উপহার নেওয়ার দু'দিনের মাথায় সে জানিয়ে দেয় এই সম্পর্কে আর চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
এরপরই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই কিশোর। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে পরিবার। এরই মাঝে বুধবার রাতে পাশের এক মুদির দোকানে যায় বলরাম।। তারপর থেকেই খোঁজ নেই কিশোরের।