আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে দুর্গাপুজো-কালীপুজো অবধি জেলেই কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাকে। বুধবারের পর ফের ৫ অক্টোবর তাঁকে আদালতে তোলার কথা। কিন্তু পুজোর ছুটির জন্য ফের ২৯ অক্টোবর তাঁকে আদালতে তোলা হবে। এদিনও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের (Bail Plea) আবেদন করেন অনুব্রত।
আদালতে তিনি বলেন, 'আমার শারিরীক অসুস্থতা রয়েছে। ষাটের উপর বয়স। জেলকে সংশোধনাগার বলা হয়। কিন্তু মোটেই জেল সংশোধনাগার নয়। ওখানে কোনও গুণমান মেনে চলা হয় না। শৌচাগার থেকে খাওয়ার কোনও কিছুই স্বাস্থ্যকর নয়। তাছাড়া সামনে পুজো রয়েছে। আমার বাড়িতে মেয়ে একা। উপাচার মেনে পুজোর সব কাজ মেয়ে করতে পারবে না। তাই মানবিক বিচারে আমাকে জামিন দিন।'
যদিও সিবিআইয়ের পাল্টা যুক্তি, 'ফের জেলে পাঠানো হোক অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তে অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যার সঙ্গে অনুব্রতর যোগ মিলেছে। তদন্ত এখনও চলছে, এই মামলায় অন্য তথ্য-প্রমাণ হাতে আসছে। উনি জামিন পেলে সেগুলো লোপাট করতে পারেন। দুই এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা ২০১৫-২০১৯-র মধ্যে নগদে লেনদেন হয়েছে। দুই এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ রয়েছে। উনি অনেক প্রভাবশালী। এই এনজিও থেকে অনেক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।' জামিনের বিরোধিতা করে এই যুক্তি খাড়া করেছে সিবিআই।
এদিকে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছেন এদিন জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি, বোলপুর ভারত সেবাশ্রম সংঘকে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিস দেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চান বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি।