Share this link via
Or copy link
সোনারপুরের (Sonarpur) কামরাবাদ রেলগেট এলাকার শুটআউটের (shootout) ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) এক। যদিও লাল্টু হাজরা খুনে জড়িত পাঁচ জন। রবিবার জানিয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিস। এই শুটআউট-কাণ্ডে লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বন্ধুর বাড়িতে। পাশাপাশি পুলিস উদ্ধার করেছিল গুলির খোলা-সহ দুই রাউন্ড গুলি। লাল্টুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ঘটনার তদন্তে নামে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনের কিনারা করে পুলিস। দীপ হালদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমনকি, এই শুটআউটের আসল কারণও জানতে পারে পুলিস। বারুইপুর জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, '১৯ তারিখ ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাল্টু হাজরার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই সোনারপুর থানার তদন্তে জানা গিয়েছে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় দুটি দলের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই দুই দলের মধ্যে একটি গ্রুপ দীপের। অপর গ্রুপে ছিল বিশ্বজিৎ। কিন্তু সেই সময় ঝামেলা করে দীপ পালায়, অথচ তার দলের কয়েকজনকে ধরে নিগ্রহ করা হয়। সেই থেকে বিশ্বজিৎ সরকারের উপর রাগ ছিল দীপের গ্রুপের।'
জানা গিয়েছে, ১৮ তারিখ রাতে দীপের সহযোগীরা ময়ূখের বাড়িতে গিয়েছিল। কারণ ওই বাড়িতে বিশ্বজিৎ ঘুমোতেন সঙ্গে লাল্টুও থাকতেন। কিন্তু গিয়ে বিশ্বজিৎকে পাওয়া যায় না। সেই সময় পাঁচ জনের সঙ্গে লাল্টুর বচসা শুরু হলে, গুলি চালানো হয়। গুলি চলার পর অভিযুক্তরা ভয় পেয়ে এলাকা ছাড়ে। প্রথমে তারা ভেবেছিল গুলি লাল্টুর হাতে লেগেছে, কিন্তু সেই গুলি পেটেও লেগেছিল। যদিও সেদিন পাঁচ জনের ঠিক কে গুলি চালিয়েছিল সেটা খোলসা করেননি পুলিসকর্তা।
তিনি জানান, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চলেছে, সেটা এখনও উদ্ধার হয়নি। গত এপ্রিল মাসে দীপ ও তাঁর সহযোগী বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ায় গ্রেফতার হয়েছিল। যদিও সেই গ্রেফতারির সঙ্গে এই হত্যা কাণ্ডের কোনও যোগ নেই।