ব্রেকিং নিউজ
Terrorist funding ব্যবসা বাড়াতেই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া কিছু শিল্পপতির?
HomestateTerrorist funding ব্যবসা বাড়াতেই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া কিছু শিল্পপতির?
Post By : সিএন ওয়েবডেস্ক
Posted on :2022-01-20 17:31:30
কী বলা যাবে একে? আধুনিক সন্ত্রাস? কোভিডকালে অর্থের ভাঁড়ারে টান সর্বত্র। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠনের বেআইনি আর্থিক কর্মকাণ্ডেও। সেই কারণেই ঘুর পথে চলছে অর্থ উপার্জনের প্রয়াস। মাদক ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে নাশকতার বহর বাড়ানোর চেষ্টা করছে এই ধরনের নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলি।
তবে এবার এনআইএ-র জালে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদক ছাড়াও মূল ধারার কোনও কোনও শিল্পপতিও নিঃশব্দে জুগিয়ে যাচ্ছেন নাশকতার ফান্ড। এই অভিযোগ অবশ্য প্রথম নয়। অসম-এ আলফাকে নাশকতার ক্ষেত্রে সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এবার ভিন রাজ্যের গন্ডি টপকে সরাসরি বাংলাতেও একই অভিযোগ উঠল এবং গ্রেফতার হলেন এক শিল্পপতি।
এ রাজ্যে বসেই শিল্প সংস্থার ওই গ্রুপ মাওবাদীদের আর্থিক সাহায্য করছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই রাষ্ট্রবিরোধী কাজে তাঁকে আরও বেশ কয়েকজন সহায়তা করত বলে অভিযোগ। তাদের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে তদন্তকারীদের বক্তব্য, ধৃত ব্যবসায়ী সেই গোত্রের নয়। কোনও অতি বাম ভাবনার বশবর্তী হয়ে নয়, শুধুমাত্র ব্যবসার অঙ্ক বাড়াতেই এভাবে তিনি নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্যতা বাড়ান। ওই শিল্প গ্রুপ-এর কয়লা, আকরিক লোহা সহ রয়েছে টিএমটি বার-এর ব্যবসা।
ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং রাজ্যের দুর্গাপুরে রয়েছে সংস্থার কারখানা। স্বাভাবিকভাবেই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে আর্থিক সাহায্য করার অর্থই তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রাপ্তি। একইসঙ্গে ওই সব নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের রিটার্নও অনেক বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ওই গ্রুপ তাদের বিজ্ঞাপনের ক্যাপশনে বলে, তারা দেশ-এর মধ্যে ফাস্ট গ্রোয়িং সংস্থা। তাহলে কি নিষিদ্ধ সংগঠনে বিনিয়োগ করে সেই লাভের অর্থেই প্রোডাক্ট তৈরি করে দ্রুত ব্যবসা বাড়ছিল বাণিজ্যিক সংস্থার। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, যারা দেশ টুকরো করার খেলায় নেমেছে, সেই সব নিষিদ্ধ সংগঠনকে বাণিজ্যিক সহযোগী বানানো তো দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। তাও আবার বাংলার মাটিতে বসেই।