সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার থানায় লিখিত অভিযোগ হল তৃণমূল নেতা সুকান্ত মাহাতর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এই ইস্যুতে মঙ্গলবার বনগাঁর শিমুলতলার বাসিন্দা প্রশান্ত কুণ্ডু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সুকান্তবাবুর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে পারমিতা কুণ্ডুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সুকান্ত। স্ট্যাম্প পেপারে সে কথা উল্লেখও আছে। পরবর্তী সময়ে চাকরি দিতে না পেরে সুকান্তবাবু দু-দফায় দশ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সুকান্তবাবু একটি চেক দিয়েছিলেন, যদিও সেই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ছিল না।
সুকান্তবাবু তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের জেলা সভাপতি। পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। তাঁর স্ত্রী ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে এদিন কোনও বক্তব্য দেননি। যদিও আগের তিনি জানিয়েছিলেন, "রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।"
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতারাও সুর চড়িয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল জানান "ওই দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক এখনও স্কুলে কীভাবে শিক্ষকতা করতে পারেন। সিবিআইয়ের উচিত ওকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া।"
এই বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন "থানায় অভিযোগ হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। তবে বেআইনিভাবে যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।"
প্রসঙ্গত জুন মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তবাবুর নাম না করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেখানে তাঁকে বনগাঁর চন্দন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, স্কুল শিক্ষকের চাকরি ও বদলির নাম করে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।