আজ সায়ন্তিকা ভারী খুশি। তার প্রিয় দিদি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের সঙ্গে দেখা হল তার। শহর কলকাতার গোলপার্কের বেদী ভবন থেকে সাইকেল চালিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করল আট বছরের সায়ন্তিকা।
মালদহ থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। যদিও তার ইচ্ছে ছিল, গোটা পথটাই সে সাইকেলে পাড়ি দেবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই খবর জানার পরেই ছোট্ট মেয়েটির কষ্ট হবে বলে জেলাশাসককে তার আসার ব্যবস্থা করতে বলেন। মালদহ থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেনে আসে সায়ন্তিকা ও তার পরিবার। তারপর একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসনিক তত্পরতায় সে পৌঁছয় গোলপার্কের বেদী ভবন। সেখান থেকেই সাইকেলে আসে কালীঘাট।
ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রীও উদগ্রীব ছিলেন। খালি হাতে আসেনি সায়ন্তিকা। প্রিয় দিদি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সে এনেছে উপহার। ইংরেজ বাজার থেকে ব্যাগে করে আচার, আমসত্ত্ব, এমনকী আম গাছের চারা নিয়ে এসেছে সে। সায়ন্তিকার হাতে মমতা তুলে দিয়েছেন বই, মিষ্টি, চকোলেট ও বিশ্ববাংলার ব্যাগ।
মালদহ শহরের মনস্কামনা পল্লিতে বাড়ি তাদের। স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সে। বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়িচালক। মা উমা দাস কোনওক্রমে সংসার চালান। সায়ন্তিকার এক দিদি কলেজের ও আরেক দিদি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আর্থিক অনটনে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে উপকৃত হয় তার দিদিরা। সেকথা ভোলেনি ছোট্ট সায়ন্তিকা। আর তখন থেকেই দিদির সঙ্গে সাক্ষাত করার ইচ্ছেপ্রকাশ করে সে। আজ হল তার ইচ্ছেপূরণ।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে জেলার আমসত্ত্ব তুলে দেয় খুদে। মুখ্যমন্ত্রীও খুশি তার সঙ্গে কথা বলে। ছোট্ট সায়ন্তিকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তার সটান জবাব, "বড় হয়ে IAS অফিসার হতে চাই।" সায়ন্তিকার পড়াশোনায় কোনও সমস্যা হলে তাঁকে যেন অবিলম্বে জানানো হয় বলে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পেয়ে অভিভূত সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস ও মা উমা দাস।