শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বর্ষা অনেক আগেই ঢুকেছিল উত্তরবঙ্গে। ফের একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর মালদহ জেলাতেও এই বৃষ্টি বজায় থাকবে।
উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার সকালে আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন কালজানি নদীতে জারি করা হয় লাল সতর্কতা। পাশাপাশি তোর্সা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। রায়ডাক, সংকোশ প্রায় প্রত্যিকটি নদীতেই জল স্তর বাড়ছে বলে জানা যায়।
পাশাপাশি লাগাতার বৃষ্টি ও ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে নদীর জল ছাড়ার কারণে কোচবিহার জেলায় সমস্ত নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তুফানগঞ্জ রায়ডাক নদীর জল আগেই হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি। তবে এবার কোচবিহারের তোর্সা নদীতে বিপদ বাড়ছে। শুরু হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। তোর্সা নদীর জল বাড়ায় ইতিমধ্যে কোচবিহার শহর সংলগ্ন ফাঁসির ঘাট, টাকাগাছ এলাকায় মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। বাড়ি ছেড়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি ও জল ছাড়ার ফলে কোচবিহার তোর্সা নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। তোর্সা রয়েছে হলুদ সর্তকতাও। তবে এই জল আরও বাড়বে বলে সেচ দফতরের সূত্রে খবর। যার ফলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু রাত থেকে ফের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। এই বৃষ্টি টানা চললে তিস্তা, করলা সহ অন্যান্য নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে। জলঢাকা নদীতেও হলুদ সর্তকতা জারি হয়েছে।
তবে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি শিলিগুড়ির বালাসনের ফেদার ওয়েদার ব্রিজ। যদিও বাড়ছে চিন্তা। কারণ, শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের দরুণ সেতুর ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল জল। এরপর সকালের দিকে অবশ্য জলস্তর কিছুটা নামতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে ফেদার ওয়েদার ব্রিজের সমান সমান জল বইছে বালাসনে।