রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বহু জায়গায়। এবার রেশনের (ration) সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। এর আগেও এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বহু মানুষ। কেউ জানান, তাঁদের মিলছে না পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রী। আবার কেউ জানান, পাচার হয়ে যাচ্ছে রেশন সামগ্রী। ঠিক তেমনই ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) ধুপগুড়ি এলাকায়। তবে এখানের চিত্রটা একটু অন্যরকম। দেদার পাচার হচ্ছে রেশন সামগ্রী, তাও আবার মুরগির খাবারের আড়ালে। শুক্রবার বিকেলে ধুপগুড়ির (dhupguri) চড়চড়াবাড়ি এলাকায় খাদ্যশস্য বোঝাই লরি আটক করে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে আসে ধুপগুড়ি থানার পুলিস (dhupguri police station)। তল্লাশির পর দেখা যায়, তাতে রয়েছে রেশনের গম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপভোক্তাদের কাছ থেকে খুব কম দামে রেশনে দেওয়া এই গম কিনে নেয় কিছু ফড়ে। সেইসব গম চড়চড়াবাড়ির বাবলু রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখা হত। এরপর লরি করে সেইসব সামগ্রী ময়নাগুড়ি বাইপাস এলাকার কোনও এক ব্যবসায়ীর গুদামে পৌঁছে দেওয়া হত। এরপর তা খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয় বলেই প্রথমিক অনুমান।
দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বাসিন্দারা প্রশ্ন তুললে বলা হত, মুরগির খাবার রয়েছে লরিতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বাসিন্দাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। শুক্রবার বিকেলে তাঁরা জমায়েত হন চড়চড়াবাড়ি মোড়ে। খাদ্যশস্য বোঝাই লরিটি আটক করেন তাঁরা। আর এরপরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে আসেন গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধর্মনারায়ণ রায়। তিনি খবর দেন ধুপগুড়ি থানায়, আসে পুলিসও। তারা খাদ্যশস্য সহ গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। লরিতে থাকা খাদ্যশস্যগুলি সত্যিই রেশনের সামগ্রী কি না, তা অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল কি না, সেসব জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খাদ্য দফতরের সঙ্গেও এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছে পুলিস।