২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Fake note: জাল নোট-সহ পুরুলিয়ায় ধৃত মধ্যপ্রদেশের দুই! সোনার গয়না লুঠে অভিযুক্ত
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-08 17:15:44   Share:   

অ্যান্টি ক্রাইম নাকার (Anti crime naka) নামে বিভিন্ন জায়গায় সোনার গয়না (gold) লুঠের চেষ্টা-সহ জাল নোট (Fake note) কারবারে অভিযোগ ওঠে পুরুলিয়া (Purulia) শহরে। এই সমস্ত অবৈধ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার (arrest) করে পুরুলিয়া জেলা পুলিস। গত কয়েক দিনে হোটেল, লজ-সহ অন্য জায়গায় পুলিসের রুটিন তল্লাশি চলছিল। তারই মধ্যে দু'জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে তাঁদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপরই জানা যায়, এফআইসিএন র‍্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত ওই দুজন। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত দুজনেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের নাম আলী রেজা এবং তানভীর হোসেন। পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করেছে।

পাশাপাশি পুলিসি জেরায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, আলী রেজা এবং তানভীর হোসেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও তিনজন। তাঁদের নাম কাশেম, সাদিক ও তাকদির। প্রথম ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, বাকি দুজন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। এই পাঁচজন অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গেও জড়িত। অ্যান্টি ক্রাইম নাকার নাম করে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় সোনা গয়না লুঠ করে এরা। পুরুলিয়া জেলা পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মূলত শহরের ঢোকার মুখে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিংয়ের নামে পুলিসের সিভিল টিমের সদস্য পরিচয় দিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর বয়স্ক বা সরল মনের মানুষ দেখলেই ফাঁদ পাতে। চুরি বা ডাকাতি হতে পারে মানুষের মনে এমন আতঙ্ক তৈরি করে পরনের সোনা গয়না সব খুলে ফেলতে বলা হয় সেসব সোনা গয়না। এরপর নিজেরাই সেই গহনা হাতিয়ে নিয়ে নকল সোনা গয়না দিয়ে দিত। এভাবেই চলতে থাকত অপরাধ।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার পুরুলিয়া জেলা পুলিস যোগাযোগ করে জামশেদপুর পুলিসের সঙ্গে। এরপরই এই দলের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে এই চক্রের সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিস।


Follow us on :