Share this link via
Or copy link
নাবালিকার বিয়ের (Child Marriage) আসরে পুলিস। গ্রেফতার বাবা-সহ পাত্র। বিয়ে দিয়ে নাবালিকা পাত্রীকে লুকিয়ে রেখেও শেষ রক্ষা হলো না পরিবারের। বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার বায়লানি-বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিয়ের আসরেই হাজির হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় ও হাসনাবাদ থানার পুলিস। পাশাপাশি পাত্র ও পাত্রের বাবাকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের নাবালিকা পাত্রীর বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জের ভান্ডারখালি গ্রামে। পাত্রীর বাবা নিরঞ্জন খলুয়া পেশায় একজন কৃষক। তিনি ইদানিং পাত্রের সন্ধান করছিল মেয়ের বিয়ের জন্য। সেই মতো বিশপুরের বছর ২১-এর মৃন্ময় মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধও করেছিল পাত্রীর বাবা।
এমনকি পাত্রীর বয়স ১৮ না হওয়ায় বিশপুর গ্রামে পাত্রের মামার বাড়িতে লুকিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তাকে। এমনকি সেই তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিল দুই পরিবার। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের আসরেই হাজির হয় হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় ও হাসনাবাদ থানার পুলিস। তাঁরা যৌথভাবে তদন্ত করে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পাত্রীকে আটক করে তারা।
এমনকি পাত্র মৃন্ময় মন্ডল ও পাত্রের বাবা মনোরঞ্জন মন্ডলকে গ্রেফতারও করেছে পুলিস। কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক ও পুলিস সূত্রে খবর, পাত্রী নাবালিকা এখনও ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। তার বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাত্রীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এমনকি কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা দেখবো ওই নাবালিকা যাতে আবার স্কুলে ফিরে যেতে পারে।'