Share this link via
Or copy link
লক্ষ্য এবার পঞ্চায়েত ভোট। চলতি সপ্তাহ থেকেই প্রস্তুতি শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের। ৮ তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে মেগা সমাবেশ। রাজ্যের সব বুথ নিয়ে সমাবেশ। প্রায় ১৭ হাজার দলীয় প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক, ১৮৪০ ব্লক সভাপতিকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷থাকবেন সাংসদ-বিধায়করাও। সমাবেশে বুথ স্তরে কর্মসূচি স্থির করে দেওয়া হবে।
এখন থেকেই জনসংযোগ কোন কোন বিষয়ে করা হবে তা স্থির করে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নয়, যেকোনও রাজ্যের পুর বা অন্য ভোটের দায়িত্ব থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তবে সাধারণত পঞ্চায়েত দফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজ্য সচিবালয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নির্বাচন কমিশনকে জানায়, সেই মোতাবিক দিন ঠিক করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের আগের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০১৮-তে। সেই ভোটকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বিস্তর, ভোটে শতকরা ৯০% শতাংশ আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এই ভোট নিয়ে রাজ্যের এক বিরাট সংখ্যক ভোটারের ক্ষোভ ছিল যে ভোট হয়েছে গাজোয়ারিতে।
এবারে পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিসাবমতো ২০২৩-এর মে মাসে।কিন্তু শোনা যাচ্ছিল, যে ভোট এগিয়ে এসে হতে পারে ডিসেম্বর ২০২২-এ। কিন্তু এখনও তা ঠিক না হলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট এগিয়ে আনলেও তা কোনওভাবে হয়তো ফেব্রুয়ারির আগে নয়। এখানেও প্রশ্ন থাকে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক এবং তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক। কাজেই পরীক্ষার আগে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করলে আইনি বাধায় ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও দলই।
অন্যদিকে অভিমত, যে করেই হোক তৃণমূল দ্রুত ভোট করে নিতে চাইবে। এই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে।
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে হয়তো দলনেত্রীর আভাস পাওয়া যেতে পারে।