Share this link via
Or copy link
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভবত পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক (Administratve Meeting) করলেন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন সান্ডালিয়া। বৈঠকে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাকি জেলাশাসকদের সঙ্গে হয় ভার্চুয়াল বৈঠক (Virtual Meeting)। বৈঠকে সীমানা পুনর্বিন্যাস সহ আসন সংরক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি নিয়ে অবগত করা হয় নির্বাচনী আধিকারিকদের।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন সান্ডালিয়া। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংরক্ষিত আসন চিহ্নিত করার কাজও শেষ করতে বলা হয়েছে। রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন হাওয়ার কথা ২০২৩ সালের মে মাসে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শেষ ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ৪৮ হাজার ৬৩৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯২১৪ এবং জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা মোট ৮২৪ টি। অন্যদিকে ধূপগুড়ি, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, বুনিয়াদপুর, দুর্গাপুর, নলহাটি, নদিয়া, কুপার্স ক্যাম্প বিজ্ঞাপিত এলাকার বোর্ডের মেয়াদ আগামী ১৩ আগস্ট শেষ হচ্ছে। এইসব পৌর এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের জেলায় ইতিমধ্যে আসন সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে, ১১ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা এবং পয়লা সেপ্টেম্বর যাতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন সান্ডালিয়া বলে কমিশন সূত্রের খবর। সম্ভবত এইসব পুরসভায় আগামী নভেম্বর মাসে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সমস্ত পুরসভার পাশাপাশি কালিম্পং, রায়গঞ্জ, ডোমকল, পুজালি, কর্শিয়াং পুরসভার ভোট একইসঙ্গে করার প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।